মহাসড়কে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অবরোধ
যাত্রীবাহী বাসের চাপায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইয়া ফৌজিয়া মিম নিহতের প্রতিবাদে এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেন। এতে পর্যটন স্পট কুয়াকাটাসহ পটুয়াখালী বরগুনা ও ভোলা জেলার সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সড়কপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুপাশে আটকা পড়েছে শত শত যানবাহন। সাধারণ যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং গেট এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ পরিবহণ নামে একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মিম। ঘটনার পরপরই বাস ফেলে পালিয়ে যান চালক ও হেলপার। পরে রাত ১১টার দিকে বাসটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। দুর্ঘটনার পরপরই শুরু হওয়া সড়ক অবরোধ চলে গতরাত পৌনে ২টা পর্যন্ত। আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দিনের অবরোধ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ভূমিকা সরকার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা হওয়া সত্ত্বেও চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে ওভারব্রিজ স্থাপনের পাশাপাশি ঘাতক বাসের চালক-হেলপার গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে সেনা সদস্যদের একটি টিম। তারা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অবরোধ প্রত্যাহারের বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। খুব শিগগিরই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি।’