আওয়ামী লীগ হচ্ছে পলায়নপর রাজনৈতিক শক্তি : ড. মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ২৫ মার্চ যখন পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র জনগণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তখন স্বাধীনতার শক্তি দাবিদার আওয়ামী লীগের নেতারা জনগণকে বিপদে ফেলে ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ হচ্ছে পলায়নপর রাজনৈতিক শক্তি। তখন দেশের পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন শহীদ জিয়া। শুধু তাই নয় সম্মুখ যুদ্ধও করেছিলেন।
আজ শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে মিরপুর শাহ আলী মাজারের সামনে জাতীয়তাবাদী বাউল দল আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মঈন খান এসব কথা বলেন।
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বলার কোনো অধিকার আওয়ামী লীগের নেই। ৭১-এর ইতিহাস, ৭ নভেম্বরের ইতিহাস, নব্বইয়ের ইতিহাস এবং জুলাই বিপ্লবের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। সূত্রটি হচ্ছে গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার। এটি চাওয়া কি জনগণের অপরাধ? গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের জন্য সে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিলো ৭২ থেকে ৭৫ সালে এই আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কবর রচনা করে দেশে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েম করেছিল।
ড. মঈন খান বলেন, আজ সত্যিকারের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। বিগত ১৬ বছর কোমলমতি শিশুদের আওয়ামী বাকশালী ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়েছে। বইয়ের সিলেবাস পরিবর্তন করে মিথ্যা ইতিহাস পড়ানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজে লাগেনি। ৫ আগষ্ট নতুন প্রজন্মকে টিয়া পাখির মতো শেখানো ইতিহাস উপড়ে ফেলে এই নতুন প্রজন্ম এবং ছাত্রজনতা দেশে সত্যিকারের ইতিহাসের উদয় করেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. মঈন খান বলেন, নতুন প্রজন্মকে আওয়ামী লীগ বিপথগামী করতে পারে নাই। তাই ৫ আগষ্ট দেশে সফল বিপ্লব সংঘঠিত হয়েছে। দেশের মানুষ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, অন্যায়কে সমর্থন করে না৷ অত্যাচার ও হামলা মামলা সমর্থন করে না। বিগত ২০-২২ বছর যারা নতুন ভোটার হয়েছে তারা ভোট দিতে পারে নাই। সেই ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের মানুষকে প্রস্তুত করেছে। বিএনপি বিশ্বাস করে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ অন্তবর্তীকালীন সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, মানুষ তার কাঙ্খিত গণতন্ত্র ফিরে পাবে এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তুহিনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক এবং সদস্য সচিব মোস্তফা জামান।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি নেতা মাহাবুব আলম মন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি, রূপনগর থানা বিএনপি আহবায়ক জহিরুল হক, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মজিবুল হক, যুগ্ম আহবায়ক শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, অলিউল হাসানাত তুহিন মাষ্টার, পল্লবী থানা বিএনপির আহবায়ক কামাল হুসাইন খান, যুবদল রূপনগর থানার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মো. নাঈম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকদল রূপনগর থানার সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সাজেদুল আলম টুটুল প্রমুখ।