অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থাকতে চাইলে ঝুঁকি তৈরি হয় : সাইফুল হক
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অনির্বাচিত সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকতে চাইলে বহু ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়।
আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) সেগুনবাগিচায় দলীয় কার্যালয়ে পার্টির ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটির কাউন্সিল অধিবেশনে সাইফুল হক এসব কথা বলেন।
সাইফুল হক বলেন, সরকার সবকিছু ছড়িয়ে ফেলছে, গুছিয়ে আনতে পারছে না। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাডারের অস্থিতিশীলতা সরকারকেও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে। গণতান্ত্রিক উত্তরণে সরকারের সাথে রাজনৈতিক দলের দূরত্ব কমিয়ে আনা দরকার। সফল হতে চাইলে সরকারকে এজেন্ডা কমিয়ে আনা দরকার।
সাইফুল হক আরও বলেন, সরকার প্রতিদিন এমন এমন বাকশ খুলছেন যা আর তারা বন্ধ করতে পারছেন না। সরকার সবকিছু ছড়িয়ে ফেলছে, কিন্তু গুছিয়ে আনতে পারছেন না। দেশ কেমন চলছে সচিবালয়ের দিকে তাকালেই তা খানিকটা বোঝা যায়। রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্যাডারের মধ্যে যে অস্থিতিশীলতা চলছে তা ভালো লক্ষ্মণ নয়। এভাবে চলতে থাকলে সরকারের স্থিতিশীলতাও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।
সাইফুল হক আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দল ও জনগণের নজিরবিহীন সমর্থন থাকা সত্ত্বেও সরকারের ওপর মানুষের আস্থা ও ভরসায় চিড় ধরছে। মনে হয় সরকারও রাজনৈতিক দলকে কিছুটা এড়িয়ে চলছে। দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে সরকারের এই দূরত্ব কমিয়ে আনা দরকার।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, দ্রুত সংস্কারের ব্যাপারে বোঝাপড়া তৈরী করে জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট পথনকশা ঘোষণা করা দরকার। কারণ অনির্বাচিত সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকতে চাইলে বহু ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়। সফল হতে চাইলে সরকারকে তার এজেন্ডা কমিয়ে এনে কাজের তালিকা নির্দিষ্ট করা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলসমূহ সরকারকে সহযোগিতা করতে চায়। কিন্তু সরকারকে এই সহযোগিতা নিতে জানতে হবে।
অনতিবিলম্বে বাজার সংস্কার কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, সরকার অনেকগুলো কমিশন গঠন করলেও এখনও পর্যন্ত বাজার সংস্কারের জন্য কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি।
এসময় তিনি শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরি কমিশন গঠন করার আহ্বান জানিয়ে শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেন।
অরবিন্দু বেপারী বিন্দুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কাউন্সিলে বক্তব্য দেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, শিল্পাঞ্চলের সংগঠক সুমন মিয়া, শাহজাহান আলী, মোহাইমিনুল হক, পবিত্র এদবর, মো. লিটন মন্ডল, মামুনুর রহমান রজব, শাখিলা আকতার শান্তা, রেজাউল ইসলাম, আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
কাউন্সিল অধিবেশনে অরবিন্দু বেপারী বিন্দুকে সভাপতি ও মোহাম্মদ শাহজাহানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট ঢাকা জেলা শিল্পাঞ্চল কমিটি গঠন করা হয়।
কাউন্সিকের শুরুতে সিপিবির সাবেক সভাপতি প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা শহীদুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।