সুরক্ষিত হয়েছে ১৮ হাজার সাধারণ ‘নগদ’ গ্রাহকের অর্থ
কয়েক দফা যাচাই-বাছাই এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সন্তোষজনকভাবে ত্রুটিপূর্ণ রিফান্ডের পেছনে জড়িত থাকা আটটি অ্যাকাউন্ট বাদে অসমাঞ্জস্যপূর্ণ লেনদেনের ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্থিতি হোল্ড হওয়া সব ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট বুধবার পুনরায় সচল করা হয়েছে।
বিস্তৃত কলেবরে যাচাই-বাছাইয়ের ফলে চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলো সহজেই চিহ্নিত করার পাশাপাশি ১৮ হাজার গ্রাহকের অর্থও সম্পূর্ণ নিরাপদ করা সম্ভব হয়েছে। সময় সাপেক্ষ এই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শেষে সিরাজগঞ্জশপ ডটকমের সিইও জুয়েল রানার অ্যাকাউন্ট ছাড়াও তার পরিবারের সদস্য, ব্যবসায়িক সহযোগী এবং কর্মচারীদের নামে থাকা ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টকে এক্ষেত্রে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
ইতোমধ্যে পুনঃসচল হওয়া সব ‘নগদ’ গ্রাহকরা সহজেই স্বাভাবিকভাবে লেনদেন করাসহ ‘নগদ’-এর দারুণ সব সেবা উপভোগ করা যাচ্ছে। স্থিতি হোল্ড হওয়া অ্যাকাউন্টগুলো থেকে কোনো গ্রাহকের একটি টাকাও খোয়া যায়নি। আজ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নগদ এসব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সপ্তাহ তিনেক আগে সিরাজগঞ্জশপ ও আলাদীনের প্রদীপ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেনদেনের লক্ষণ দেখা দিলে গ্রাহকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিতের জন্য ‘নগদ’-এর অত্যাধুনিক আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স সিস্টেম ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টের স্থিতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে হোল্ড করে দেয়।
পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলমান আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে পুঙ্খানুপুঙ্খ যাচাই-বাছাই ও নিরবচ্ছিন্ন নিরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সন্তোষজনক ফলাফলের ভিত্তিতে ধাপে ধাপে সব স্থিতি হোল্ড হওয়া অ্যাকাউন্ট রিঅ্যাক্টিভেট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এর আগে ‘নগদ’ ঘোষণা করেছিল ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চক্রান্তের পেছনে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলোকে চিহ্নিত করে বাকি সব সাধারণ গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট পুনঃসচল হবে। সেই সময়সীমার একদিন আগেই ‘নগদ’ বিষয়টি গ্রাহকের স্বার্থে সুরাহা করেছে।
এ বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, “আমি সবাইকে নিশ্চিন্ত করতে চাই, ‘নগদ’-এর কাছে তার গ্রাহকদের স্বার্থ সবার ওপরে। ইতিমধ্যে স্থিতি হোল্ড হওয়া গ্রাহকদের প্রত্যেকের অর্থের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতপূর্বক সিরাজগঞ্জশপ-এর কাছে গ্রাহকদের পাওনা রিফান্ডসহ সব ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট ধাপে ধাপে রিঅ্যাক্টিভেট করা হয়েছে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘নগদ’-এর সম্মানিত গ্রাহকদের দুর্ভোগ দূর করতে আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি। আর এই ভরসার নামই ‘নগদ’।”
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পাশে দাঁড়াতে রিঅ্যাক্টিভেট হওয়া ১৮ হাজার গ্রাহকের প্রত্যেকের জন্যে একটি উপহারও ঘোষণা করেন তানভীর এ মিশুক, যা ইতিমধ্যে তাদের প্রত্যেকের ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গেছে।
‘নগদ’ সব সময়েই সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করছে। মানুষের অর্থ যাতে বিন্দুমাত্র ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সে বিষয়ে ‘নগদ’ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ উদ্বোধনের পর থেকে ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’ সাধারণ মানুষের লেনদেনকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তুলে আনতে কাজ করছে। গত আড়াই বছরে ‘নগদ’ প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি গ্রাহক পেয়েছে। একই সঙ্গে দৈনিক লেনদেন ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।