মুদ্রানীতির বিরূপ প্রভাব শেয়ারবাজারে?
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর দেশের উভয় শেয়ারবাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আগের দিনের তুলনায় ১৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় শেয়ারবাজার নিয়ে গভর্নরের বক্তব্যের বিরূপ প্রভাবে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে।
মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় গভর্নর বলেন, ‘শেয়ারবাজার ২০১০ সাল থেকে বিরাজমান মন্দাবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে। বাজার যাতে সুস্থ ধারায় থাকে সেজন্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি করা জরুরি। না হলে অতীতের মতো প্রলুব্ধ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
ডিএসইর পরিচালক ও সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান বলেন, মুদ্রানীতি ঘোষণা করার সময় শেয়ারবাজর নিয়ে গভর্নরের করা মন্তব্যের কারণেই বাজারে বড় দরপতন হয়েছে। তিনি এখন যে ধরনের নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছেন, তা এ মুহূর্তে কোনো দরকার নেই। নেতিবাচক কথা বললে বাজারে তার একটি প্রভাব পড়বেই।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, রোববার ডিএসইর শেয়ার লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৩৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। যা আগের দিনের তুলনায় ১৩২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা কম। গতকাল বৃহস্পতিবার এক হাজার ২৬৯ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
আজ ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৭টির, কমেছে ২৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে পাঁচটির শেয়ার দর।
এদিন ডিএসইএক্স সূচক ১১৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে পাঁচ হাজার ৫০০ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৭৪ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে দুই হাজার তিন পয়েন্টে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ৬৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএএসপিআই সূচক ৪১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৩৯৮৭ পয়েন্টে। সিএসসিক্স সূচক ২৪৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে দশ হাজার ৩০১ পয়েন্টে। সিএসই৩০ সূচক ২৮৫ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ৮৯৭ পয়েন্টে, সিএসই৫০ সূচক ৩১ পয়েন্টে কমে এক হাজার ২৫১ পয়েন্টে এবং সিএসআই সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৬৩টি কোম্পানির ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৮টির, কমেছে ২১৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ছয়টির।