বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ (রিজার্ভ) ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। আজ সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময় ২১ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ সময়ে রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক এ এফ এম আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে দেশের সাত মাসেরও অধিক সময়ের আমদানি দায় পরিশোধ করা সম্ভব। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, গৃহীত সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার স্থিতিশীল বিনিময় হার বজায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি সহায়তা তহবিলের (রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল) পরিমাণ ও এর ব্যবহারের আওতা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। রপ্তানিকারকদের সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বিভিন্ন প্রণোদনার ফলে রপ্তানি আয় বেড়েছে। প্রবাসী আয়ের সন্তোষজনক প্রবাহও অব্যাহত রয়েছে। আর বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগ ও বেসরকারি খাত কর্তৃক বৈদেশিক উৎস থেকে অর্থায়ন গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে। এসব কারণে বৈদেশিক মুদ্রার আন্তপ্রবাহ বেড়েছে।
এ ছাড়া দেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়ায় খাদ্য খাতে আমদানির পরিমাণ কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানির দাম কমেছে। আমদানির পরিমাণ বাড়লেও পণ্যের দাম কমার কারণে সার্বিকভাবে আমদানি ব্যয় কমেছে। এসব কারণও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বাড়তে সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
তৈরি পোশাকশিল্পে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজে স্থানীয় কাঁচামালের উল্লেখযোগ্য জোগান দেওয়া সম্ভব হওয়ায় বিদেশি উৎস থেকে এ ধরনের পণ্যের আমদানি কমেছে।
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বৈদেশিক মুদ্রার রেমিট্যান্স বৃদ্ধিও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ায় অবদান রেখেছে।
রিজার্ভ স্থিতি বিবেচনায় সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বর্তমানে ভারতের পরেই বাংলাদেশের অবস্থান। ভারতের রিজার্ভ স্থিতি ৩৫৪ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান, যার রিজার্ভ স্থিতি ১৭ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
রিজার্ভের বর্তমান স্থিতি দ্বারা বাংলাদেশের পক্ষে ইন্টারনাল বা এক্সটার্নাল যে কোনো অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।