অর্থ ছাড়ের মানা শোনেনি ফিলিপাইনের ব্যাংক
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে স্থগিত রাখার নির্দেশ পাওয়ার পরও বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরির টাকা উঠাতে পেরেছে দুর্বৃত্তরা। ফিলিপাইনের বাণিজ্যিক ব্যাংক রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক করপোরেশনের (আরসিবিসি) মাধ্যমে এ ঘটনা ঘটে। এর আগেই অর্থের আগমনস্থল নিউইয়র্ক থেকে উত্তোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম ইনকোয়্যারার জানিয়েছে, ৮১০ লাখ ডলার অর্থ পাচার বিষয়ে দেশটির সিনেটের সম্প্রতিক এক তদন্তে আরসিবিসির এই অনিয়মের কথা জানা গেছে। ওই অর্থ পাচার নিয়ে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংক তোপের মুখে আছে। একই সঙ্গে দেশটির আইন অর্থ পাচার হওয়া রোধে কতটা কার্যকর তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
শুনানিতে সিনেটর তিওফিস্টো জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিপুল অর্থ আরসিবিসি ব্যাংকে যায়। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের একটি নির্দেশ ৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার মধ্যেই আরসিবিসিতে পৌঁছায়, যেখানে ওই অর্থ উত্তোলনের সুযোগ দিতে নিষেধ করা হয়। তবে চীনা নববর্ষের কারণে ব্যাংক বন্ধ ছিল।
সিনেটের পক্ষ থেকে আরসিবিসি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লরেঞ্জোকে বলা হয়, ৮ ফেব্রুয়ারি বন্ধ থাকলেও, ৯ তারিখ ব্যাংক খোলে। ওই দিন শুরুতেই ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নির্দেশ দেখা উচিত ছিল। কিন্তু ওই নিষেধ গুরুত্ব না দিয়ে বিপুল অর্থ ওঠানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়।
তদন্ত কমিশনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অনুরোধ আরসিবিসি উত্তর দিয়েছে ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিটে, যখন ব্যাংকের খোলা থাকার সময় প্রায় শেষ।
ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুরোধের উত্তর দেওয়ায় বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে, আরসিবিসি প্রধান নির্বাহী ব্যাংকের গোপনীয়তা নীতির কথা তুলে তা প্রকাশ করতে আপারগতা জানান।