বাণিজ্য মেলায় ‘শিশু মেলা’, উচ্ছ্বসিত শিশুরা
নিহারিকার বয়স চার বছর। বাণিজ্য মেলায় নিতে বাবা আসলামের কাছে ধরেছিল বায়না। আদরের মেয়ের আবদার পূরণে ছুটির দিনে আজ শুক্রবার তিনি এসেছিলেন মেলায়। ভুলতা থেকে এসে নিহারিকা দেখে মেলায় বসেছে শিশু মেলা। এতে তার আনন্দ বেড়ে হয় দ্বিগুণ। উচ্ছ্বসিত মেয়েকে দেখে বাবাও হন আপ্লুত। শুধু নিহারিকা না, রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে আয়োজিত বাণিজ্য মেলায় শতশত শিশুদের কলরবে মেতে ছিল শিশু মেলা এলাকা। নাগরদোলা, ম্যাজিক নৌকা, ট্রেনসহ বিভিন্ন রাইডে ছিল তাদের ভিড়। আর কার্টুন শো, ভূতের শো’র কথা তো না বললেই নয়। সব মিলিয়ে জমজমাট।
নিহারিকার বাবা আসলাম বলেন, ‘মেয়েকে আনতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আমাদের বাড়ি থেকে মেলার প্রাঙ্গণ কাছে, তাই সহজেই আসতে পেরেছি ‘
বাণিজ্য মেলাতে ব্যাটম্যান, স্পাইডার ম্যানসহ বিভিন্ন কার্টুনের আদলে অনেকে দোকানে স্যালসমেনদের সাজতে দেখা গেছে। মূলত শিশুদের আনন্দ দেওয়ার জন্য এই আনন্দের আয়োজন তাদের।
মেলা প্রাঙ্গণে ব্যাটম্যান সাজা একজনের সঙ্গে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মাসজুড়ে মেলা হবে। এখানে ১০ ঘণ্টা করে কাজ করছি। মাস শেষে পারিশ্রমিক মিলবে। তবে, শিশুদের আনন্দ দিতে পেরে আমাদের অনেক ভালো লাগছে।
গত বছর দেশি–বিদেশি মিলিয়ে ৩৩১টি স্টল মেলায় অংশ নেয়। এ বছর সব মিলিয়ে ৩৫০টি স্টল অংশ নেবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা মেলায় নিজেদের পণ্য বিক্রি করবেন। তার মধ্যে শিশুদের আনন্দ দিতে পণ্যের পাশাপাশি নানা আয়োজন রেখেছে কোম্পানিগুলো।
১৯৯৫ সাল থেকে বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি। ঢাকার শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত হতো এই মেলা। পরে জনদুর্ভোগ এড়াতে বাণিজ্য মেলা মূল শহর থেকে পূর্বাচলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর থেকে ২০২২ সাল থেকে পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে বাণিজ্য মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চলতি বছর নিয়ে সেখানে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।