জাবিতে অর্ধশত শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দলবেধে একজনকে মারধরের অভিযোগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা করে অর্ধশত শিক্ষার্থী মিলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর নাম সাকিবুল ইসলাম ফারাব্বি। তিনি বিশ্বিবদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র।
রোববার হামলার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্র দেন তিনি।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের রবিন, ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেহেদি সাফি ও মিশান শিকদার, মার্কেটিং বিভাগের শহীদুল ইসলাম রাসেল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের আজিম সাকিব, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আব্দুল্লাহ আল সাদ, ইংরেজি বিভাগের সালমান, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের মৃন্ময় দাস ও হাসিবুলসহ আরও ৫০-৬০ জন। এরা সবাই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
অভিযোগপত্রে এ ঘটনাকে অতর্কিত হামলা উল্লেখ করে ফারাব্বি বলেন, ‘গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে ল্যাব ক্লাস শেষে শহীদ মিনারের পাশ দিয়ে হলে ফেরার সময় তারা একজোট হয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলার একপর্যায়ে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা সজল ভাই ও রাসেল ভাই আমাকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে পৌঁছে দেন। হলে আসার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে জাবি মেডিকেল সেন্টার এবং পরে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিই।’
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত মিশান শিকদার ও মেহেদি সাফিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান, এ বিষয়ে তারা কিছু বলতে চান না। বড় ভাইয়েরা কথা বলবেন। বড় ভাইয়েরা যা বলেন তা-ই হবে।
অভিযোগপত্রের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমি সেসময় পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলাম। আমাকে জানিয়ে অভিযোগপত্রটি অভিযোগকারী শিক্ষার্থী অফিসে জমা দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’