জাবিতে হল খোলার পর শিক্ষার্থীদের মানতে হবে ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আবাসিক হল খোলার পর শিক্ষার্থীদের ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিন মানতে হবে। এ সময় সশরীরে কোনো ক্লাস-পরীক্ষা হবে না। হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি ও নিরাপত্তা বাস্তবায়নে থাকবে আবাসিক শিক্ষকদের পর্যবেক্ষণ কমিটি।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান। কোয়ারেন্টিন সম্পর্কে তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে আসার সময় করোনা সংক্রমিত হতে পারে। এই সতর্কতা থেকে কোয়ারেন্টিন ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ কাজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীরা বাইরে বের হতে পারবে।
হলে গণরুম থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মুজিবুর জানান, যাদের পড়াশুনা শেষ তারা হলে উঠতে পারবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ ব্যাচ বা তার ঊর্ধ্বের ব্যাচের কোনো শিক্ষার্থীকে হলে উঠতে দেওয়া হবে না। তাহলে হলে আর গণরুমের প্রয়োজন হবে না। হল কার্ড দেখে দেখে হলে উঠানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সালাম বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আলী আজম তালুকদার বলেন, হল প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুসারে তৈরি মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া হলে প্রবেশে থাকবে থার্মাল স্ক্যানার, বেসিন ও সাবান, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের জন্য হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে থাকবে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা। সার্বক্ষণিক আবাসিক শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে থাকবে পর্যবেক্ষণ কমিটি।
করোনাকালীন হলগুলো সংস্কার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া হয়েছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকার বাজেট। এ সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবদুস সালাম মো. শরীফ বলেন, ‘এরই মধ্যে প্রায় তিন কোটি টাকার হলের দেয়াল রং, সংস্কারের কাজ শেষ করেছি। বাকি স্বাস্থ্য সরঞ্জাম ক্রয়ের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’