জাবিতে ২৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ অর্থবছর উপলক্ষ্যে ২৭৯ কোটি ১৩ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। এ বাজেটে ঘাটতি ৪২ কোটি ৯০ লাখ ১৭ হাজার টাকা। আজ শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯তম বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে এ বাজেট পাস হয়। এর আগে গত ১২ জুন সিন্ডিকেট সভায় ২০২২-২৩ অর্থ বছরের জন্য বাজেট পর্যালোচনা শেষে সিনেটে অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয় ।
বাজেটের আয় হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে প্রাপ্ত ২৫৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে, যা মূল বাজেটের ৯২ দশমিক ১২ শতাংশ। এ ছাড়াও অভ্যন্তরীণ আয় ২২ কোটি টাকা, যা মূল বাজেটের সাত দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এবারের বাজেটে চিকিৎসাখাতে ব্যয় দুই কোটি ৭৪ লাখ ১১ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট বাজেটের শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ।
এবারের বাজেটে সর্বোচ্চ ৯৭ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে শিক্ষক বেতন ও বিভাগ খরচ খাতে, যা মোট বাজেটের ৩৫ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে সাধারণ কার্যক্রম ও আনুষঙ্গিক ব্যয় বাবদ ৩২ কোটি ৩৮ লাখ ৩ হাজার টাকা, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
মোট বাজেটের ৩২ কোটি ১ লাখ ২৯ হাজার টাকা ব্যয় নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছে প্রশাসনিক খরচ, যা মোট বাজেটের ১১ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
এ ছাড়া পেনশন বাবদ ৩০ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, আবাসিক হলগুলোতে ২৬ কোটি ৫৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা, পরীক্ষা খরচ বাবদ ১৯ কোটি ৬৮ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, পূর্ত বিভাগে আট কোটি ২৬ লাখ ২৮ হাজার টাকা, গবেষণায় চার কোটি ৪০ লাখ
টাকা, চিকিৎসা খাতে দুই কোটি ৭৪ লাখ ১১ হাজার টাকা, ছাত্রবৃত্তি ও ফেলোশিপ বাবদ তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা, শিক্ষা সরঞ্জাম, বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম ও রাসায়নিক দ্রব্য বাবদ দুই কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং বিবিধ ব্যয় বাবদ পাঁচ কোটি ১৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
চিকিৎসাখাতে কম বরাদ্দে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল করার দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু, কী কারণে এটা নজরে আসে না আমি জানি না। এতো বড় উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে, কিন্তু মেডিকেল সেন্টারের কোনো উন্নয়ন হচ্ছে না।’
জানা গেছে, বর্তমানে জাবির প্রায় ১৫ হাজার শিক্ষার্থী, ৭২০ জন শিক্ষক, ৩৫৫ জন কর্মকর্তা ও ১৩৮১ জন কর্মচারীর জন্য নামমাত্র একটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। মেডিকেল সেন্টারটিতে বর্তমানে নয়জন চিকিৎসক, চারজন টেকনিক্যাল কর্মকর্তা, তিনজন কর্মকর্তা, ১৫ জন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী এবং ১০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছে।