জাবির উন্নয়ন কাজে চালু হচ্ছে ই-টেন্ডারিং
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উন্নয়ন কাজে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে অনলাইন টেন্ডারিং। খুব শিগগিরই চলমান অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ৬১৫ কোটি টাকার টেন্ডার ঘোষণা করা হবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মো. নাছির উদ্দিন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে উন্নয়ন কাজের টেন্ডার অনলাইনে করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। এখনো পর্যন্ত কোনো কাজের টেন্ডার অনলাইনে হয়নি। ২০১৮ সালে ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে এক হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা অনুমোদন দেয় একনেক। প্রথম ধাপে ৪৫০ কোটি টাকার ছয়টি হলের কাজের টেন্ডার ঘোষণা করা হয়। ওই সময় অনলাইন টেন্ডারের বাধ্যবাধকতা থাকলেও মেন্যুয়েলি টেন্ডারিং করা হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের কোনো কাজও অনলাইনে টেন্ডারিং হয় নাই।
এ বিষয়ে প্রকৌশল মো. নাছির উদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজে অনলাইনে টেন্ডারিং করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অর্থবছরের শেষের দিক হওয়ায় সময়ের অভাবে মেন্যুয়েলি করতে বাধ্য হয়েছি। সেখানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে। ওই সময় ২২টি টেন্ডার জমা পড়েছিল। যে প্রতিষ্ঠান যোগ্য ছিল তাদের কাজ দেওয়া হয়েছে।’
মো. নাছির উদ্দিন আরও বলেন, ‘এ মাসেই দ্বিতীয় ধাপের কাজের ই-টেন্ডারিং করা হবে। অনলাইন প্রক্রিয়ার কাজ শেষের দিকে। যেকোন প্রতিষ্ঠান ইলেক্ট্রনিক গভর্মেন্ট টেন্ডার (ইজিটি) সিস্টেমের ওয়েবসাইটে কাজের বিস্তারিত দেখতে পাবে। সেখানেই তাদের টেন্ডার সাবমিট করতে পারবে।’
৬১৫ কোটি টাকায় কোন কোন ভবনের কাজ হবে? এই প্রশ্নের জবাবে মো. নাছির উদ্দিন বলেন, ‘এই বাজেটের আওতায় ১৪টি ভবন আছে। দুটি অনুষদ ভবন (কলা ও মানবিক, জীববিজ্ঞান), প্রশাসনিক ভবন, লেকচার থিয়েটার কাম পরীক্ষার হল, গেস্ট হাউজ, বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার, আবাসিক ভবন ( তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি, পরিচ্ছন্নতা কর্মী) প্রভোস্ট কমপ্লেক্স, আবাসিক ভবন (শিক্ষক ও অফিসার), আবাসিক শিক্ষক কোয়ার্টার।’
ই-টেন্ডার না করতে পারার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সালাম মো. শরীফ বলেন, ‘আমরা দুই বছর আগে একবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ইজিটিতে স্লট পাইনি। করোনার আগে রেজিস্ট্রেশন করতে পেরেছিলাম। কিন্তু যে প্রকৌশলীর নামে রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল উনি প্রকল্প অফিসে চলে গেছেন। এখন ওনার নাম পরিবর্তন করতে হবে। করোনার কারণে এতদিন যোগাযোগ করতে পারিনি। এখন আবার যোগাযোগ করে অনলাইনে টেন্ডারিং করা হবে। তবে কত সময় লাগবে তা অফিসে যোগাযোগ ছাড়া বলতে পারব না।’
প্রকল্পে ‘অনিয়ম ও দুর্নীতি’ হয়েছে দাবি করে আন্দোলন করেছিল শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একটি অংশ। তাদেরও দাবি ছিল যে টেন্ডার হতে হবে অনলাইনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘এবার ই-টেন্ডারিং হবে। ই-টেন্ডারিং ভালো প্রক্রিয়া ও ঝামেলা কম। তবে আমার কাছে এখনও ফাইল আসেনি।’