জাবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে কুদ্দুস বয়াতির একাত্মতা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন লোকসঙ্গীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। সে সময় এ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশের লোকসঙ্গীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি।
বাংলাদেশের লোকসঙ্গীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের ইউনিভার্সিটি থেকে আরম্ভ করে যেকোনো শিক্ষার্থী অপমানিত হবে, লাঞ্ছিত হবে এটা আমি মেনে নিতে পারি না। এই দিনও দিন নয় আরও দিনও আছে এ দিনেরে নিচ্ছে তারা সেই দিনেরো কাছে। আমি এদের সঙ্গে আছি, আজীবনই থাকব। আল্লাহ আমাকে ভালো করে আনছে প্রতিবাদের জন্যই।’
কুদ্দুস বয়াতি প্রশ্ন করে বলেন, ‘স্মৃতিসৌধ তৈরি করেছে কিজন্য? ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্মৃতিসৌধ তৈরি হয়েছে। এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাবে না তো যাবে কোথায়? আনসার গুণ্ডা বাহিনী ছেলেটিকে মারধর করেছে। এটা ঠিক নয়। আমি এদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি।’
গতকাল সোমবার বিকেলে দুই ভাগিনাকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে ঘুরতে যায় জাবির এক শিক্ষার্থী। স্মৃতিসৌধ বন্ধ জানিয়ে দায়িত্বরত গার্ডরা তাদের প্রবেশ করতে দেয়নি। অন্যদিকে টাকার বিনিময়ে অন্যদের প্রবেশ করতে দেওয়ার প্রতিবাদ জানায় ওই শিক্ষার্থী। এক পর্যায়ে এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করার সময় গার্ডরা ক্ষেপে যায়। সাত থেকে আটজন গার্ড তাঁকে ভেতরের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে তাঁর বড় ভাগিনা ৯৯৯-এ ফোন দিলে পুলিশ কর্মকর্তারা এসে তাঁকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি সাভারের এনাম মেডিকেলের নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি আছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অবরোধ কর্মসূচি তুলে নেয়। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মামলা করা হবে জানিয়েছে আশুলিয়া থানা পুলিশ।