পাবলিক আর প্রাইভেটের প্রতিযোগিতায় উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে : আনু মুহাম্মদ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, ‘পাবলিক আর প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার প্রতিযোগিতায় উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেন। এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যেমন বঞ্চিত হচ্ছে সঠিক পরিচর্যার, তেমনি প্রাইভেটে চুক্তিনির্ভর শিক্ষকদের পেয়ে শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন বাণিজ্যিক খদ্দের।’
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে আয়োজিত প্রতীকী ক্লাসে এমন মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারি কক্ষে ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাত’বিষয়ের ওপর প্রতীকী ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতীকী ক্লাসে অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘শিক্ষা খাতের মতো চিকিৎসা খাতেও সরকারি হাসপাতালের ডাক্তাররা বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখতে বেশি আগ্রহী। এতে সাধারণ মানুষ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উচিৎ ছিল সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা বৃদ্ধির যাতে সবাই এখানে চিকিৎসা নিতে পারেন।’
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে কনস্ট্রাকশন আর নতুন কেনাকাটার আগ্রহ বেশি। শুধু নতুন নতুন ভবন তৈরির জন্য প্রতিযোগিতা। কিন্তু নজর নেই শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মান উন্নয়নে। নেই পর্যাপ্ত জনবল। নেই সুষ্ঠু কোনো পরিকল্পনা।’
বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার ব্যাপারে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এ মাসের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমে ফিরিয়ে আনতে হবে।’
প্রতীকী ক্লাসে অংশগ্রহণকারী ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ বলেন, ‘আমরা সরাসরি ক্লাস করতে আগ্রহী। খুব দ্রুতই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিয়ে আমাদের নিজ ক্লাস রুমে ফিরে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে। অনলাইন ক্লাসে ছাত্র-শিক্ষক মধ্যকার জ্ঞান আদান-প্রদান সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না।’
গত ২৬ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে এ প্রতিবাদী প্রতীকী ক্লাস শুরু হয়। এর আগে ক্লাস নিয়েছেন অধ্যাপক রাইয়ান রাইন, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রুনু ও অধ্যাপক মানস চৌধুরী। চতুর্থ ক্লাস নিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বিশ্ববিদ্যালয় খোলা পর্যন্ত এই প্রতিবাদী ক্লাস চালিয়ে যাবেন আয়োজক শিক্ষকরা।