স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষার্থীরা জানায়, সাত থেকে আট হাজার শিক্ষার্থী টিকা নিলেও ক্যাম্পাস খোলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো আগ্রহ নেই। ক্যাম্পাস না খোলার পেছনে চলমান উন্নয়ন কাজে বাধার ভয়কে দায়ী করছে শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আবু নাহিয়ানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়নের জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ও প্রায় সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনার টিকা নিয়েছেন। কিন্তু এ তথ্য প্রশাসন গোপন করেছে। ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানে না। কিন্তু ইউজিসির সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার ব্যাপারে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে তাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় খুব দ্রুতই খোলা সম্ভব। যেই অল্প সংখ্যক শিক্ষার্থী টিকা নিতে পারেননি তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এ মামুন স্যারের বক্তব্যে স্পষ্ট যে উন্নয়ন কাজে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে জন্যই ক্যাম্পাস খুলছে না।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হতাশায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। যেখানে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি স্বশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য দাবি করেছে সেখানে আমাদের শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেছেন, হল নির্মাণ শেষ না হলে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা সম্ভব না। তারা ভাবছেন উন্নয়ন এবং শিক্ষা একসঙ্গে চলতে পারে না। কিন্তু শিক্ষার পাশাপাশিই উন্নয়ন কাজ চালাতে হবে।’

জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিকুর রহমার বলেন, ‘আমরা ভালো নেই, মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছি। প্রত্যেকেই চাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হোক। শিক্ষকরা কোয়ার্টারে থাকতে পারলে শিক্ষার্থীরা কেন হলে থাকতে পারবে না? আমাদের দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলন যেতে বাধ্য হবো। উদ্ভূত পরিস্থিতির সম্পূর্ণ দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।’