বিশ্ববিদ্যালয় সচলের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সচলসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
আজ বুধবার বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের নিচে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয় শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়াসহ তিন দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হল- ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল করতে হবে, ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করার তারিখ ঘোষণা করতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্যাকসিন বুথ স্থাপন করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন গ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে হবে।
মুঠোফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক নরুল আলম শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘ক্যাম্পাস কিভাবে খোলা যায় এ বিষয়ে বিকেলে প্রশাসনিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এ ব্যাপারে আলোচনা করা হবে।’
ভূগোল ও পরিবশে বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের সঞ্চালনায় সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার দাবি করেন।
ইতিহাস বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নুসরাত ফারিন বলেন, ‘শুধু হলে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যবস্থা করাই সমাধান নয়, এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, রাস্তাঘাট সংস্কার করাটাও জরুরি। প্রশাসনের বিশ্ববিদ্যালয় মানসিকতার অভাবের জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় এখনো খোলা সম্ভব হয়নি।’
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রকিবুল রনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের স্বদিচ্ছা জরুরি। এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম নিচ্ছে না প্রশাসন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা হলে থাকছে, সশরীরে পরীক্ষা দিচ্ছে আর আমরা অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য ক্যাম্পাসের আশপাশে মানবেতর জীবনযাপন করছি। ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ক্যাম্পাস খোলার সিদ্ধান্ত না জানালে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।’
একই বিভাগের নুরুজ্জামান শুভ বলেন, ‘সরকার ২৭ সেপ্টেম্বরের বিশ্ববিদ্যালয় খোলার অনুমতি দিয়েছে। এখন তো আর কোনো বাঁধা নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এ মাসের মধ্যেই ক্যাম্পাস ও হল খুলে দিতে হবে। সারা দেশে যদি গণটিকা দেওয়া যায় তাহলে শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় এক থেকে দুদিনের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া সম্পন্ন করা সম্ভব।’