ভর্তি পরীক্ষায় জাবির স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর নানা কর্মসূচি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। আজ সকাল ৯টায় ‘ডি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ ভর্তিযুদ্ধ শুরু হয়।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হয়ে মোট পাঁচটি শিফটে বিকেল ৪টায় পরীক্ষা শেষ হয়। পরীক্ষা চলবে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত।
ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন সেবামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব, তরী, রোভার স্কাউট, বিএনসিসি, ধ্বনি, যুব রেড ক্রিসেন্ট, পিডিএফ, ইচ্ছা, রোটার্যাক্ট ক্লাব, ইপসা ও বিভিন্ন জেলার ছাত্রকল্যাণ পরিষদ ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বুথ স্থাপন করেছে। সংগঠনগুলো শিক্ষার্থীদের ভবন খুঁজে দেওয়া, অভিভাবকদের বসার জন্য টেন্ট, পানির ব্যবস্থা, মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্র রাখাসহ নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র অধিকার পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জাবি শাখা নবীন শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা মিছিল ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ‘শেখ রাসেল তথ্য সহায়তা কেন্দ্র’ পরিচালনা করেছে। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ ‘শহীদ তাজুল মোটরবাইক সেবা’ হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ জাবি শাখা মাস্ক বিতরণ করেছে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ ও অভিনন্দন জানিয়ে শুভেচ্ছা মিছিল করেছে জাবি ছাত্রদল।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব গণমাধ্যম কর্মীদের স্বজন ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্য সহায়তা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। সেবাকেন্দ্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্য বসার ব্যবস্থা করা হয়। পরীক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো অভিযোগ দেওয়ার জন্য একটি অভিযোগ বক্স রাখা হয়।
জানা যায়, এ বছর মোট ৯টি ইউনিটে এক হাজার ৮৮৯টি আসনের বিপরীতে অংশগগ্রহণ করবে তিন লাখ আট হাজার ৬০৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। সে অনুযায়ী প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বে ১৬৩ জন। মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ওপর থাকছে ২০ নম্বর। ভর্তিচ্ছুদের ৪৫ মিনিটে ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।