শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনার প্রতিবাদে জাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার হত্যা এবং নড়াইলে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসককে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানবন্ধনে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘রাষ্ট্রে যখন বিচারহীনতা এবং অবিচার বেড়ে যাচ্ছে, তখন শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় শুধু একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়নি বরং অধ্যক্ষ স্বপন কুমারকে জুতোর মালা পড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আদর্শগতভাবে সকল শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘আমরা আজকে যে সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, সেসময়ে ছাত্র দ্বারা শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখছি কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষক কিংবা প্রশাসন যদি কথা বলে, তখনই তারা শিক্ষক ও প্রশাসনের ওপরে চড়াও হন। যে ঘটনাগুলো ঘটছে, তার পিছনে কারণ কী, সেটাকে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে খুঁজে বের করতে হবে। ঘটনার সমাধান খুঁজতে হলে উৎস খুঁজতে হবে।’
লায়েক সজ্জাদ এন্দেল্লাহ আরও বলেন, ‘যে ছাত্র শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে, মেরে ফেলে তাদেরকে আমি ছাত্র বলতে চাই না। তারা বিপৎগামী। কোনোভাবেই তাদের ছাত্রত্ব থাকতে পারে না।’
শিক্ষক সমিতির সভাপতি আরও বলেন, ‘এই পেশায় প্রবেশের আগেই আমরা জানতাম, এখানে অর্থ উপার্জন কম হলেও একটা সম্মান আছে, আলাদা মর্যাদা আছে। কিন্তু, এই ঘটনাগুলোর পর শিক্ষক হিসেবে আজ ছাত্রদের থেকে আলাদা কোনো সম্মান চাই না, রাষ্ট্র কর্তৃক আমাদের যে সম্মান তা নিয়ে বাঁচতে চাই।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নীলাঞ্জন কুমার সাহা, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান সুমন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মাহতাব উদ্দিন আহাম্মদ, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদা আখতার, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমনা গুপ্তা প্রমুখ।