হল খোলা নিয়ে জাবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে প্রভোস্ট কমিটি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) হল খোলা নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে প্রভোস্ট কমিটি। এরই মধ্যে ২১ অক্টোবর হল খোলার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল পরামর্শ দিয়েছে। আজ শনিবার এ ব্যাপারে সিন্ডিকেটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নুতন রেজিস্ট্রার ভবনের কাউন্সিল কক্ষে প্রভোস্ট কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ক্যম্পাসের সব ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী, সাংবাদিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বন্ধ থাকা ১৮ মাসের হল ফি মওকুফ করেছে। এ ছাড়া অনলাইন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ফি নেওয়া হয়নি।
অধ্যাপক মোহা. মুজিবুর রহমান আরও বলেন, ‘সবার সহযোগিতা ছাড়া করোনকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যেকোনো পরামর্শ গ্রহণ করতে আমরা প্রস্তুত। সেজন্যই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হবে। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষার্থীদের কল্যাণেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এরই মধ্যে একাডেমিক কাউন্সিলের ২১ অক্টোবর হল খোলার সিদ্ধান্তকে শিক্ষার্থীদের স্বার্থবিরোধী দাবি করে আলাদা আলাদা বিবৃতি দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখা। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হলগুলো খোলার দাবি করেছে সংগঠনগুলো।
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি মতবিনিময় সভার বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রশাসন কথা বলতে চেয়েছে, আমরা অংশগ্রহণ করব। হলগুলো অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে খুলে দিতে হবে—এই দাবি অবশ্যই আলোচনায় প্রাধান্য থাকবে। এ ছাড়া শিক্ষার্থী-সংশ্লিষ্ট দাবিগুলো নিয়েও কথা বলা হবে।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন, ‘প্রশাসন থেকে মতবিনিময় সভা সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়েছে। দ্রুত হল খুলে দেওয়াসহ ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের হলে না তোলার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে প্রশাসনকে জানানো হবে। বৈধ শিক্ষার্থীরা হলে উঠতে পারবে না, কিন্তু অবৈধ শিক্ষার্থীরা হলে থাকবে—প্রশাসনের এমন অযৌক্তির সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের বিষয়ে কথা বলা হবে।’
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ২১ অক্টোবর হলগুলো খোলার ব্যাপারে সুপারিশ করা হয়। প্রথমবর্ষের (৪৯ ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের হলে না তোলার ব্যাপারেও সুপারিশ করে এই সভা। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।