১৫ দিন ধৈর্য ধরতে বললেন জাবি উপাচার্য
‘২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব শিক্ষার্থীর টিকা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। তারপর টিকা প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হলে তো সাত-আট দিন লাগবে। টিকা ছাড়াই যদি হলে উঠানো যেতো তাহলে কেন এতদিন বন্ধ রাখলাম? অন্তত এক ডোজ টিকা নিতেই হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। হল খুলে দেওয়ার পর যাতে আবার বন্ধ করতে না হয় সেজন্য শিক্ষার্থীদের ১৫ দিন ধৈর্য ধরার অনুরোধ করছি।’
এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা চাইলে আন্দোলন করতে পারে, এটা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আমি তাদের অনুরোধ করব যেহেতু তারা এতদিন ধৈর্য ধরেছে, আর ১৫ দিন অপেক্ষা করে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই ক্যাম্পাস খুলে দিতে চাই। নিজের ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালোর জন্য ধৈর্য ধারণ করলে সবার জন্যই মঙ্গল হবে।
টিকা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম জানান, মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা আছে—হলে উঠতে হলে অন্তত এক ডোজ টিকা নিতে হবে। অনেক শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকায় তারা এতদিন আবেদন করতে পারেনি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সেসব শিক্ষার্থীর জন্ম নিবন্ধনের তথ্য চেয়েছে। সে নির্দেশনাকে সামনে রেখে আমরা সব শিক্ষার্থীর টিকা রেজিস্ট্রেশনের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনকে (ইউজিসি) পাঠাব। তারা তথ্যগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবে। ২৭ তারিখের মধ্যেই এ রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
শিক্ষার্থীরা কিভাবে টিকা নিবে? এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি। টিকা ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিক্যাল হ্যান্ডস নেই। মন্ত্রণালয় যেকোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের টিকা প্রদান সম্পন্ন করবে। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে টিকা বুথ স্থাপন করবে। সেক্ষেত্রে প্রশাসন তাদের সহযোগিতা করবে।
অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম জানান, যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেই শিক্ষার্থীদের হলে উঠানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আমরা যেভাবে ডিজাস্টার অর্ডিন্যান্স পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিয়েছি সেভাবে সুষ্ঠু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেব, যাতে কোনোভাবেই আমাদের পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করতে না হয়।
উপাচার্য জানান, আমাদের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে নেই। অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষার মাধ্যমে আমরা শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নিয়েছি। সব ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে স্বতঃস্ফূর্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
ক্যাম্পাস খোলার পরের পদক্ষেপ সম্পর্কে ফারজানা ইসলাম বলেন, খোলার পর শিক্ষার্থীরা ১৫ দিন হলে অবস্থান করবে। হলে থেকেই অনলাইনে ক্লাস-পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ক্লাসে বসাতে হবে। অন্যদিকে ক্লাসগুলোর আকার শিক্ষার্থী সংখ্যার তুলনায় সংকীর্ণ। সেক্ষেত্রে আমাদের শিফটভিত্তিক ভাগ করে অথবা একদিন পর পর ক্লাস নেওয়া লাগতে পারে।