ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়োগ, আন্দোলনে যাওয়ার আভাস শিক্ষকদের
আবার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ। ‘বিতর্কিত’ এক ছাত্রলীগ নেতার নিয়োগকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে নামার আভাস দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির নেতারা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল হোসেন দীপুকে অ্যাডহক ভিত্তিতে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ায় উপাচার্যের প্রতি অসন্তুষ্ট শিক্ষক সমিতি। শিক্ষকদের অভিযোগ, দীপু সাবেক উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর হামলা চালিয়েছিলেন।
গতকাল রোববার একক ক্ষমতাবলে দীপুকে অ্যাডহক ভিত্তিতে রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে নিয়োগ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এর আগে গত ১৩ জুলাই তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে নিয়োগ দেওয়া হলেও শিক্ষকদের বিরোধিতার ফলে প্রায় ২০ দিনেও পদে যোগ দিতে পারেননি দীপু। সে নিয়োগ বাতিল করে গতকাল তাঁকে পুনরায় নিয়োগ দেন উপাচার্য।
শিক্ষক সমিতির বিরোধিতা সত্ত্বেও পুনরায় দীপুকে নিয়োগ দেওয়ার প্রতিবাদে সোমবার সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছে শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি। এই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক নেতারা। সমিতির সভাপতি অধ্যাপক খবির উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তারের নেতৃত্বে শিক্ষক নেতারা উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে এ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছি। তবে আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে তিনি এ নিয়োগ বাস্তবায়ন করবেনই। তাই আগামীকাল মঙ্গলবার সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ ছাড়া বুধবার অথবা বৃহস্পতিবার জরুরি সাধারণ সভা ডেকে এ ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।’
উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতে উপস্থিত শিক্ষক সমিতির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘এরপরও উপাচার্য এ নিয়োগ বাতিল না করলে আন্দোলনে নামতে পারি আমরা।’ সে ক্ষেত্রে ধর্মঘট বা অবরোধের মতো কর্মসূচি আসতে পারে বলে আভাস দেন তিনি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে উপাচার্যকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
গত ১৩ জুলাই ঈদুল ফিতরের ছুটির আগের শেষ দিনে চার ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন উপাচার্য। গত ৩ আগস্ট দীপু বাদে বাকি পাঁচজন নিজ নিজ পদে যোগ দিলেও শিক্ষকদের বিরোধিতার কারণে পদে যোগ দিতে পারেননি ফয়সাল হোসেন দীপু।