শিবির খোঁজে ছাত্রলীগের তল্লাশি, আটক ৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুটি হলে ইসলামী ছাত্রশিবিরের খোঁজে তল্লাশি চালিয়ে এক শিবির নেতাকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল ও শাহ্ মখ্দুম হলে তল্লাশি চালায় রাবি ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। তল্লাশির সময় দুটি হলের চারটি কক্ষে ভাঙচুরও চালায় ছাত্রলীগ।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শহীদ মিনারের সামনে থেকে শিবির সন্দেহে তিন শিক্ষার্থীকে আটক করা পুলিশে দেয় ছাত্রলীগ। এ ঘটনার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
আটক ছাত্ররা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মঈন উদ্দিন, সাদেকুর রহমান ও একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাসেল হোসেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সৈয়দ আমীর আলী হলের ২০৯ নম্বর কক্ষে শিবির খোঁজে তল্লাশি চালাই। সেখান থেকে ওই হলের ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদকে আটক করি। একই সঙ্গে ওই রুম থেকে বেশ কিছু জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। শাহ্ মখ্দুম হলেও তল্লাশি চালানো হয় তবে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।’
মিজানুর রহমান রানা আরো বলেন, ‘এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে থেকে দুজনকে আটক করি। এর আগে বঙ্গবন্ধু হলের ২১৫ নম্বর কক্ষ থেকে আরো একজনকে আটক করেছি। আটক ছাত্ররা সবাই শিবিরের সাথী বলে স্বীকার করেছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মোহা. সোলাইমান চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট চারজনকে ছাত্রলীগ আটক করে পুলিশে দিয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলীর শাখা শিবিরের এক নেতাকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা শনাক্ত করে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধু হল ও শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকেও শিবির সন্দেহে আটক করে তারা। পরে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। আটক শিবির নেতা-কর্মীদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’