শতভাগ পাসের প্রতিষ্ঠান বেড়েছে, কমেছে শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠান
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় আজ প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এবার গতবারের তুলনায় কমেছে। অন্যদিকে শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে।
গতবার শূন্য ভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১০৯। এবার তা কমে হয়েছে ১০৭টি। অর্থাৎ এবার ১০৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কোনো ছাত্রছাত্রী পাস করেনি। গতবারের তুলনায় এবার শূন্য পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে দুটি।
এবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা হচ্ছে দুই হাজার ৫৮৩টি। অর্থাৎ এ প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেওয়া সব ছাত্রছাত্রী পাস করেছে। অন্যদিকে গতবার শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৫৭৪টি। শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গতবারের তুলনায় বেড়েছে এক হাজার নয়টি।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির হাতে পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ তুলে দেন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা। পরে সেখানেই ফলের বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রী।
প্রকাশিত ফলে দেখা যায়, এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩৩ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৮৯২ ছাত্রী ও ১০ লাখ ৭০ হাজার ৪৪১ জন ছাত্র।
সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় গত বছর গড় পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এবারে তা বেড়ে হয়েছে ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থাৎ পাসের হার বেড়েছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এবার মোট পাস করেছে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৬৫ শিক্ষার্থী। গতবার পাস করেছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০৪ জন। অর্থাৎ এবার এক লাখ ৭৩ হাজার ৬১ জন শিক্ষার্থী বেশি পাস করেছে।
অন্যদিকে গত বছর মোট জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ১০ হাজার ৬২৯ হলেও এবারে তা নেমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার ৫৯৪ জনে। গতবার ৫.৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেলেও এবারে তা দাঁড়িয়েছ ৪.৯৬ শতাংশে।
শিক্ষার্থীরা মোট আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়। বোর্ড অনুযায়ী শতকরা পাসের হার—ঢাকা বোর্ডে ৭৯.৬২, রাজশাহী ৯১.৬৪, বরিশাল ৭৭.৪১, কুমিল্লা ৮৭.১৬, সিলেট ৭০.৮৩, দিনাজপুর ৮৪.১০, যশোর ৯০.৮৮ এবং চট্টগ্রামে ৭৮.১১ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এর বাইরে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে ৭২.২৪ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৮৩.০৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
দেশের ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হয়।
ফল পেতে এখানে ক্লিক করুন