প্রশাসনিক দায়িত্ব ছাড়লেন শাবিপ্রবির ৩৫ শিক্ষক
সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালসহ ৩৫ জন শিক্ষক ৩৭টি প্রশাসনিক পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। উপাচার্য অধ্যাপক মো. আমিনুল হক ভূঁইয়া শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন—এ অভিযোগে তাঁরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে একযোগে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এ সময় রেজিস্ট্রার ও উপাচার্য কেউই প্রশাসনিক ভবনে ছিলেন না।
এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, ‘দুই বছর ওনাকে সময় দেওয়া হয়েছে। আমি নিজে ছয় মাস পর থেকে একাডেমিক কাউন্সিলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। আমি যে সিদ্ধান্তটা দেড় বছর আগে নিয়েছি, আমার কলিগরা তা এখন নিয়েছেন। তাঁরা অনেক সহ্য করেছেন।’
urgentPhoto
‘মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ শিক্ষক ফোরাম’-এর আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. শামছুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘যাঁরা অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ছিলেন, তাঁরা আর এ প্রশাসনের সঙ্গে, বিশেষ করে এই উপাচার্যের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক নন। তাঁরা অপারগ। তাঁদের মর্যাদাহানি হয়েছে।’
তবে শিক্ষকদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য। তিনি শিক্ষকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘তাঁরা (শিক্ষক) এ বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসেন। তাঁরা এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অবশ্যই তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন। ওনাদের পদত্যাগপত্র এখনো আসেনি। কাজেই গ্রহণ করা হয়নি এবং করবও না।’
এদিকে, পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে নতুন আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন পদত্যাগপত্র জমা দেওয়া শিক্ষকরা।
গত সোমবার উপাচার্যের সঙ্গে একাডেমিক ভবনের স্থান সম্পর্কিত জটিলতা নিরসনের ব্যাপারে কথা বলতে যান পদার্থবিজ্ঞান ও জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের ১৯ শিক্ষক। ওই দিন উপাচার্যের সঙ্গে কথাকাটাকাটি হলে তিনি অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। এ ব্যাপারে শিক্ষকরা গতকাল রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে উপাচার্যকে পদত্যাগের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন। ওই সময়ের মধ্যে উপাচার্য পদত্যাগ না করায় প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।