কার্যালয়ে ঢুকতে পারলেন না জাবি উপাচার্য
নবনির্মিত ভবনে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের উঠাকে কেন্দ্র করে ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাধায় নিজ কার্যালয়ে ঢুকতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে গেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। উপাচার্য কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পারায় এ দিনের পূর্ব নির্ধারিত সভাও অনুষ্ঠিত হয়নি। urgentPhoto
ভোর ৫টার দিকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ তলার ভবনের তৃতীয় তলায় চেয়ার-টেবিল নিয়ে উঠে পড়ে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ।
পরে সকাল ৯টার দিকে ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভবনে ঢুকতে বাধা দেন। ভবনের দুই ফটকের সামনে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধরা।
পরে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগকে ভবন থেকে বের করে দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এর কিছু পর উপাচার্য ফারজানা ইসলাম ভবনে ঢুকতে চাইলে বাধা দেন শিক্ষার্থীরা।
একপর্যায়ে বিভিন্ন অফিস প্রধানদের সভাকক্ষে বসতে দেওয়ার আহ্বান জানান উপাচার্য। তবে শিক্ষার্থীরা অবরোধ অব্যাহত রাখলে উপাচার্য ও অফিস প্রধানরা সভা না করেই ফিরে যান।
গত ৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধকের পাঠানো একটি আদেশের মাধ্যমে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগকে ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ভবনের চতুর্থ তলার তৃতীয় তলা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ ওই ভবনে উঠতে গেলে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাধা দেন।
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলনের মুখে গত ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগকে ওই ভবনের তৃতীয় তলা বরাদ্দ দেয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই দুই বিভাগের শিক্ষকরা গণপদত্যাগ করেন এবং আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেন। পরে শিক্ষক সমিতির আশ্বাসে দুই বিভাগের শিক্ষকরা পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে নেন এবং আন্দোলন স্থগিত করেন।