শহীদ সালাম-বরকত হলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
‘এসো প্রাণের মেলায় সুর তুলি, স্মৃতির পাতায় ঐক্য গড়ি’ স্লোগান নিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম-বরকত হলে দ্বিতীয় পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফারজানা ইসলাম।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, ‘শহীদ সালাম-বরকত হল তার ধারা অব্যাহত রেখে দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্মিলনী আয়োজন করেছে। এখানে এসে সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে যে আনন্দ এবং উৎসবের আমেজ দেখছি, তা সব সময়ই থাকবে বলে আশা করি।’
এ সময় উপ-উপাচার্য আবুল হোসেন, প্রক্টর তপন কুমার সাহা এবং হল প্রাধ্যক্ষ কবিরুল বাশারসহ অন্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে পড়ে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। অনেকে নিজের পরিবার নিয়ে এসেছেন বহু বছরের চেনাজানা এ হলে। স্মৃতিচারণা, গল্প, আড্ডা, গান আর খুনসুঁটিতে সিনিয়র-জুনিয়রের ভেদাভেদ ভুলে যায় শিক্ষার্থীরা। এরই ফাঁকে চলে ছবি ও সেলফি তোলা। পরে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে নেচে-গেয়ে আনন্দ, উচ্ছ্বাসে গোটা ক্যাম্পাস ঘুরে বেড়ান হলের শিক্ষার্থীরা।
হলের সাবেক শিক্ষার্থী (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ) এবং বর্তমানে বৈশাখী টেলিভিশনের জ্যেষ্ঠ প্রযোজক মহিবুর রৌফ শৈবাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কিছু স্মৃতি, কিছু ভালোবাসা এই হলের প্রতিটি রুমের সঙ্গে। এটি এখনো কাছে টানে।’
বিকেলে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশের প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় সংসদ সদস্য এম এ মালেক, শিক্ষানুরাগী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ আল জামান এবং সাভারের রানা প্লাজায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সাহায্যে এগিয়ে আসায় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানকে সম্মাননা জানানো হয়।
সর্বশেষ ২০০৮ সালে এ হলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় সাবেক শিক্ষার্থীদের স্মৃতিচারণা ও গুণীজন সংবর্ধনা। সন্ধ্যায় ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’-এর পরিবেশনায় কনসার্ট হবে।