বেতনেই বরাদ্দ ৮৫ ভাগ, শিক্ষা-গবেষণায় ১৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এর প্রায় ৮৫ ভাগ প্রস্তাব করা হয়েছে বেতন-ভাতা ও পেনশন খাতে। শিক্ষা, গবেষণাসহ অন্য খাতগুলোর জন্য বরাদ্দ ১৫ ভাগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার ২১তম সিনেট অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর রাবিতে এ সিনেট অধিবেশন হলো।
বেতন ভাতা ও পেনশন খাতসহ মূল ছয়টি খাতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বাজেট বরাদ্দ করে থাকে। বাকি পাঁচটি খাতের মধ্যে পেনশনে ৪২ কোটি ৮০ লাখ টাকা, সাধারণ আনুষঙ্গিক খাতে ৩২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে ৪০ কোটি টাকা, মেরামত, সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন (রক্ষণাবেক্ষণ) খাতে তিন কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং মূলধন ব্যয় খাতে সাত কোটি পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ মূল বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘২০১৮-১৫ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে দীর্ঘদিন ধরে পুঞ্জিভূত ঘাটতি ৪৫ কোটি ৩৯ লাখ ১৯ হাজার টাকাসহ মোট আয়ের পরিমাণ ৩১৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার টাকা এবং মোট ব্যয়ের পরিমাণ ২৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট আয়ের পরিমাণ ২৯৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা এবং ব্যয় পরিমাণ ২৯৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হচ্ছে। উভয় আয়ের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উৎস থেকে ১৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতায় আরো বলেন, ‘আবর্তক বাজেটের সিংহভাগ (প্রায় ৮৫ ভাগ) অর্থ ব্যয় হয় বেতন ভাতাদি ও পেনশন খাতে। কারণ ৩০ জুন ২০১৪ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান জনবলের সংখ্যা চার হাজার ২১ জন। তাই ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ১৬৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মূল বাজেটে ১৮৫ কোটি তিন লাখ টাকা প্রস্তাব করা হচ্ছে। তা ছাড়া ভবিষ্যৎ তহবিলে ব্যাংকের সুদের ও প্রদেয় হারের পার্থক্যের কারণে ঘাটতি রয়েছে। এমতাবস্থায় ২০১৪-১৫ সংশোধিত বাজেটে আট কোটি টাকা এবং ২০১৫-১৬ মূল বাজেটে ছয় কোটি টাকা ভবিষ্যৎ তহবিলের মোকাবিলায় চাওয়া হয়েছে।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত বাজেটে গবেষণা ও শিক্ষার আনুষঙ্গিক খাতে বাজেট খুবই স্বল্প। এ বিষয়ে কথা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এন কে নোমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘গবেষণা ছাড়া উন্নয়ন হয় না। উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো গবেষণা। বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন কারণে অতিরিক্ত লোক নিয়োগ করে থাকে। এ কারণে খরচ বেড়ে যায়। আর গবেষণা ক্ষেত্রে বাজেট কম হলে শিক্ষার মান কমে যাবে। গবেষণা ক্ষেত্রেই বাজেট বেশি হওয়া দরকার কিন্তু বাস্তবতা উল্টা।’