‘চক্রান্তকারী’ সচিবদের সনদ বাজেয়াপ্তের হুঁশিয়ারি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো দাবি করেছেন শিক্ষক নেতারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, অষ্টম জাতীয় বেতন কাঠামোয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন স্কেল নিয়ে সচিবালয় ও মন্ত্রণালয়ের আমলারা চক্রান্ত করছেন।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রস্তাবিত বৈষম্যমূলক জাতীয় বেতন কাঠামো প্রত্যাখ্যান এবং পুনর্নির্ধারণের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে শিক্ষকরা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এতে ‘চক্রান্তকারী’ সচিবরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদধারী তাঁদের হলে সনদ বাতিলের হুঁশিয়ারি জানান এক শিক্ষক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নিয়ে সরকারের সচিবালয় ও মন্ত্রণালয়ের আমলারা যে চক্রান্ত করছেন তা প্রত্যাহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে।’ অন্যথায় শিক্ষকরা আরো কঠোর কর্মসূচিতে যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক রেজাউল হক বলেন, ‘বেতন নিয়ে এ চক্রান্ত প্রত্যাহার করে শিক্ষকদের কাছে আমলাদের ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছে তাঁদের সনদ (সার্টিফিকেট) বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র, শিক্ষক, কর্মচারীরা বীরের মতো আন্দোলন করে সফল হয়েছে। কখনো পিছু হটেনি। জাতীয় বেতন কাঠামোয় বৈষম্যের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা যে আন্দোলন শুরু করেছেন এখানেও তাঁরা পিছু হটবেন না বলে আমি করি।’
অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘শিক্ষার ওপর আমলাতান্ত্রিক চক্রান্ত বন্ধ করতে হবে। দেশকে মেধাশূন্য করার জন্যই বেতন নিয়ে এই চক্রান্ত করা হচ্ছে।’
অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন খান বলেন, ‘শিক্ষকদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে বলা হয়েছে। তাহলে শিক্ষকরা কি মুদির দোকান নিয়ে বসবেন? সরকারের কোন মন্ত্রণালয়ের স্বয়ংসম্পূর্ণ আর্থিক ব্যবস্থা আছে? যদি তাই হয় তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গার ওপর সচিবালয়ের যে প্রতিষ্ঠানটি অবস্থিত তাকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট হারে ভাড়া দিতে হবে। শুধু তাই নয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত যত ভাড়া বকেয়া পড়েছে তার সব টাকা পাই পাই করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে হবে। তাহলে শিক্ষকরা স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো নিয়ে আর আন্দোলন করবে না। আমরা নিজেরাই স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারব।’
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সঞ্চালনায় এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন, অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভুঁইয়া, অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান প্রমুখ।