ঝালকাঠির দুই আসনে শাহজাহান ওমর-আমুসহ ৮ মনোনয়ন বৈধ
ঝালকাঠি-১ ও ২ সংসদীয় আসনে যাচাই-বাছাই সম্পান্ন হয়েছে। আসন দুটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত আমির হোসেন আমুর ও শাহজাহান ওমরসহ আটজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম। একইসঙ্গে সাতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন তিনি। আজ রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে এ যাচাই-বাছাই অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুস ছালেক উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন বাতিল হওয়ার তালিকায় আছেন ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম মনিরুজ্জামান মনির, জাতীয় পার্টির এজাজুল হক, সতন্ত্র প্রার্থী ইসমাইল হোসেন, নুরুল আলম, ব্যারিস্টার আবুল কাশেম মো. ফকরুল ইসলাম। ঝালকাঠি-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী নাসির উদ্দীন ইমরানের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
ঝালকাঠি-১ আসনে ১১জন প্রার্থীর মধ্যে ছয়জন ও ঝালকাঠি-২ আসনে চারজন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর (বীর উত্তম) নৌকার প্রার্থী হিসেবে টিকে রইলেন। এ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বজুল হক হারুন চূড়ান্তভাবে নৌকার মনোনয়ন না পাওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। অপরদিকে ঝালকাঠি-২ আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে সংসদীয় এলাকার এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। দৈবচয়ন পদ্ধতিতে যাচাই-বাছাই কমিটির প্রধান ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাহ্ গুল নিঝুম স্বতন্ত্র প্রার্থীদের পক্ষে স্বাক্ষর করা ১০ জন ভোটারের মুঠোফোনে কল দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন কি না জানতে চান। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপকমিটির সদস্য দলের বিদ্রোহী প্রার্থী এম মনিরুজ্জামান মনিরের পক্ষে স্বাক্ষর দেওয়া এক নারী জানায় সে মনিরুজ্জামানের পক্ষে স্বাক্ষর দেননি। তাই আইনগতভাবে মনিরুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা। একইভাবে অপর তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর স্বাক্ষর করা এক শতাংশ ভোটারদের মধ্যে দশজনের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হয় তারা স্বাক্ষর দিয়েছেন কি না। তারাও স্বাক্ষরের বিষয়টি অস্বীকার করেন। ফলে অপর তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।