টাঙ্গাইলের গোলাগুলির ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন
টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নে অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তদের অতর্কিত গোলাগুলিতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত অন্যতম প্রধান আসামি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ফারুক হোসেন ও কামরুলকে রাজধানীর উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল সদরের বাঘিল ইউনিয়নের কাঠুয়া এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণায় কাজ করা ব্যক্তিদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন দুই অস্ত্রধারী। এতে বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। এই ঘটনায় টাঙ্গাইল সদর থানায় ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন এক ভুক্তভোগীর বাবা। এ ছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জন জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।
গতকাল সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জড়িত ফারুক হোসেন (৪০) ও মো. কামরুলকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর রোকন, এমদাদ, সিয়ামসহ ৪-৫ জন নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে আনুমানিক রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের কাঠুয়া যোগনী এলাকায় পৌঁছালে গ্রেপ্তার ফারুক হোসেন ও কামরুলের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাদের ওপর অতর্কিতভাবে এলোপাতাড়ি গুলি করে এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে। এ সময় রোকন, এমদাদ ও সিয়ামের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে ভর্তি করে।
খন্দকার আল মঈন বলেন, পরবর্তীতে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আহতদের সঙ্গে গ্রেপ্তারদের আগে থেকেই আন্তঃকোন্দল ছিল। এ ছাড়া গ্রেপ্তাররা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এবং অতি উৎসাহী হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘঠিত করে। গ্রেপ্তার ফারুক এ ঘটনার পর সে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে পূর্বে অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার কামরুল ফারুকের অন্যতম সহযোগী। এ ঘটনার পর সে ফারুকের সঙ্গে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকে। পরবর্তীতে রাজধানীর উত্তরা এলাকায় আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। সেও নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলায় কারাভোগ করেছেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।