আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নিক্সনকে ইসির শোকজ
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের আলোচিত সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনকে কারণ দর্শানের (শোকজ) নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) তাকে এই বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ মে) ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও সদরপুর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিয়াউল হক খান এই শোকজ নোটিশ দেন।
নোটিশে বলা হয়, ফরিদপুর সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. শহীদুল ইসলাম (আনারস) সংসদ সদস্যের নামে ছড়িয়ে পড়া একটি অডিওর বিষয়ে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া ভাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী মো. মোকলেসুর রহমান (ঘোড়া প্রতীক) সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচনের (আচরণবিধি) বিধিমালা অনুযায়ী, সংসদ সদস্য ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’। তাই নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনি কার্যক্রমে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। কিন্তু বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রাপ্ত নথি থেকে বোঝা যাচ্ছে, সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। আচরণবিধি লঙ্ঘনের সুনির্দিষ্ট লিখিত ব্যাখ্যা ২৮ মে বিকেল চারটার মধ্যে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভাঙ্গা-সদরপুর ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
অডিওতে সদরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শহীদুল ইসলাম ওরফে বাবুলের উদ্দেশে সংসদ সদস্যকে বলতে শোনা যায়, ‘এমপিগিরি করি আর না করি, বাবুলের অস্তিত্ব আমি সদরপুর থেকে বিদায় করব।...বাবুলের অস্তিত্ব থাকবে না ভাঙ্গা-সদরপুরে। এই নির্বাচনের পর বাবুলের কোনো অস্তিত্ব আমি এই সদরপুরের মাটিতে দেখতে চাই না।’
এদিকে সদরপুর উপজেলা নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনসহ রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বাবুল। সোমবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এক পর্যায়ে কেঁদে দেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রার্থী বলেন, ‘আমার ৬৮টি কেন্দ্রের নেতাকর্মীদের ওপর প্রচণ্ড চাপ, প্রতিনিয়ত তারা হুমকি দিচ্ছে। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমার নেতাকর্মীরা ভীতসন্ত্রস্ত। আমি এখন টিকে থাকতে পারছি না। এ ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’