‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’র শেষ পর্বে মন খারাপ দর্শকদের, যা বলছেন পরিচালক
এনটিভির জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এর সম্প্রচার শেষ হয়েছে আজ মঙ্গলবার। দীর্ঘ ২১ মাসের যাত্রা শেষে ১৮২তম পর্বে থামলো অন্যতম আলোচিত ধারাবাহিকটির যাত্রা।
তবে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ ধারাবাহিকটির শেষ পর্ব এনটিভিতে প্রচারিত হওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে দর্শক মনে। কারণ হাসি-কান্নার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে পারিবারিক ক্রাইসিসে গল্পের নাটকটি। শেষ পর্বে ধারাবাহিকটির অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র শেফালি খালার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করছে দর্শকেরা, যা অনেকের মনে আঘাত দিয়েছে।
এই যেমন শেষ পর্ব প্রচারিত হওয়ার পর ফেসবুকে নাটক সম্পর্কিত জনপ্রিয় বাংলা নাটক গ্রুপে জনি মিয়া লিখেছেন, ‘প্রায় ২ বছর ধরে ফ্যামিলি ক্রাইসিস নাটকের নিয়মিত দর্শক ছিলাম। শেষ পর্বে এসে শেফালি খালার মৃত্যু দিয়ে ধারাবাহিকটি শেষ হবে এটা কল্পনা করিনি। মনে হচ্ছে, পরিবারের একজনকে হারালাম। শেষটা এভাবে না করলেও পারতেন সংশ্লিষ্টরা।’
অন্তর্জালে এমন আরো অনেকেই আবেগে ভাসছেন। তবে এই ঘটনা ছাড়া প্রায় সব চরিত্রের সুখী মিলনের মাধ্যমে শেষ করায় অনেকেই প্রশংসা করছেন।
দর্শকের এমন প্রতিক্রিয়ায় ধারাবাহিকটির নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ মঙ্গলবার রাতে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘দর্শকদের মন খারাপ হয়েছে বা এটা নিয়ে লেখালেখি হচ্ছে, এটাই আমার বা আমার টিমের সার্থকতা। তবে শেফালি খালার মৃত্যু হয়েছে এমনটা দর্শক ভাবছে। আমরা কিন্তু সেটা দেখাইনি। তাঁকে হাসপাতালেও নেওয়া হতে পারে। যদি কখনো সিক্যুয়েল আসে তখন ব্যাপারটি পরিষ্কার হবে।’
এনটিভির পর্দার বাইরেও অন্তর্জালে তুমুল জনপ্রিয় ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’। এনটিভির ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে কোটি-কোটি দর্শক নিয়মিত দেখেছেন ধারাবাহিকটি।
‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ এনটিভিতে প্রচারিত হতো প্রতি মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে। এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শর্মিলী আহমেদ, সোহেল খান, মনিরা মিঠু, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, রুনা খান, মুকিত জাকারিয়া, শবনম ফারিয়া, সারিকা সাবাহ, শামীম হাসান সরকার, তামিম মৃধা, রাইসা, সৌমিক প্রমুখ।
‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ একটি যৌথ পরিবারের গল্প নিয়ে। মধ্যবিত্ত এ পরিবারে ছিলেন গৃহকর্তা, তার স্ত্রী, তাদের একমাত্র সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ভাই, এক বোন আর তাদের মা। তারা যেমন সুখে হাসে, তেমনি বাসা বাঁধে দুঃখও। স্কুলজীবনে হেঁটে বাসায় আসা, ভাঙা ফোনে ফেসবুক চালানো, এমন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা গৃহকর্তাকে হিমশিম খেতে হয় সংসারজীবনেও। তাদের জীবনে যেমন আছে না পাওয়ার বেদনা, তেমনই আছে মিষ্টি একটু ভালোবাসা, হাসি-কান্না, স্বপ্ন। তারা স্বপ্ন দেখে এমন একটা জীবনের—যে জীবন দোয়েলের, ফড়িংয়ের।