সালমান খানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড
তেরো বছর ধরে চলতে থাকা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষিত হলো অবশেষে। ২০১৫ সালের ৬ মে শেষ পর্যন্ত দুঃস্বপ্ন হয়েই থাকল সালমান খানের জীবনে। আদালতের চূড়ান্ত রায়ে সালমান খানকে অনিচ্ছাকৃতভাবে হত্যার দায়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় তিনি সেশন কোর্টে কোনো ধরনের আপিল করতে পারবেন না, তবে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
এ মুহূর্তে আপিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন না বলে সালমান খানকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হবে। এই রায় ঘোষণার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন সালমান খান।
সালমান খানের ড্রাইভার গাড়ি চালাচ্ছিলেন—এ কথা ড্রাইভার অশোক সিং নিজে বললেও তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি আদালতের কাছে। আদালতের মত, এ সময় স্টিয়ারিং হুইলের পেছনে সালমান খান নিজেই ছিলেন। সে হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব ধরনের অভিযোগই সঠিক বলে গণ্য করেছেন আদালত। আর এ ঘটনায় মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ায় সাজা হতে পারে সালমানের গাড়িচালকেরও।
মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে মানুষ চাপা দিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ছিল সালমানের বিরুদ্ধে। সালমানের দাবি, এ সময় তিনি নন, গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর ড্রাইভার।
বাদীপক্ষের দাবি অনুযায়ী, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জুহুর রেইন বার অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে মদ পান করেন সালমান। আর সে অবস্থাতেই গাড়ি চালিয়ে রওনা দেন ম্যারিয়ট হোটেলের আশপাশ থেকে। বান্দ্রায় নিজের বাড়ি ফেরার পথে স্টিয়ারিংয়ের নিয়ন্ত্রণ হারান তিনি। পুরো গাড়ি তুলে দেন আমেরিকান এক্সপ্রেস বেকারির পাশের ফুটপাতে ঘুমন্ত বস্তিবাসীর ওপর।