আগে সবাই সিনেমার খবর নিতো, এখন নির্বাচন ও গণ্ডগোল নিয়ে জিজ্ঞাসা করে : আহমেদ শরীফ
গেল কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী হয়েছেন বর্ষীয়ান খল অভিনেতা আহমেদ শরীফ। দিন কয়েক আগে দেশে ফিরে শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ সিনেমায় একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এর বাইরে আর তিনি সিনেমা করছেন না।
বুধবার রাতে শিল্পী সমিতির অফিসে গিয়ে ছিলেন পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এই অভিনেতা। এসময় আহমেদ শরীফ বলেন, শিল্পীরা যদি একটি পরিবার হয় সেই পরিবারে ঝামেলা সৃষ্টি হলে নিজেদের মীমাংসায় ঠিকঠাক করে নেয়া উচিত। তাই বলে আদালতে যেতে হবে কেন? এই নির্বাচন তো এত বড় কোন সিরিয়াস ইস্যু না। বরং এতে প্রকৃত শিল্পীদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। সাধারণ মানুষরা মনে করছে, সিনেমা নয়, শিল্পীদের কাজই মনে হয় এখন নির্বাচন করা।
চলচ্চিত্র শিল্পীদের স্বার্থরক্ষা ও সবাইকে এক সুতোয় গাঁথতে প্রয়াত সুপারস্টার নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। আনুষ্ঠানিক কমিটি গঠিত নির্বাচিত হওয়ার আগে আহমেদ শরীফ সেই কমিটির আহ্বায়ক। পরে শিল্পীদের ভোটে নায়করাজ রাজ্জাক সভাপতি হয়েছিলেন এবং সাধারণ সম্পাদক হন আহমেদ শরীফ। ওই কমিটিতে আরো ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা খলিল, শওকত আকবর, এটিএম শামসুজ্জামানসহ অনেকে।
আহমেদ শরীফ বলেন, আমি আমেরিকাতে বসবাস করি। সেখানকার মানুষের সাথে দেখা হলে আগে সিনেমার খবর নিতো। বলতো, আপনার অমুক সিনেমা অনেকবার দেখেছি। এখন সিনেমার কথা না জিজ্ঞেস করে এফডিসির নির্বাচন ও গণ্ডগোল নিয়ে জিজ্ঞাসা করে। এতে আমি বিব্রত হই। তাদের বলি, আমি তো এই সংগঠনের নির্বাচন করি না। আবার আমেরিকা প্রবাসীরা আমাকে বলে, আপনাদের সময় তো এমন হতো না। এখন কেন হচ্ছে বিশৃঙ্খলা হচ্ছে? এসব জানতে চাইলে বিব্রত হই। লজ্জা পেয়ে কোন সঠিক উত্তর দিতে পারি না।
আহমেদ শরীফ মনে করেন, সিনেমা নিয়ে সবার আগে আলোচনা হওয়া দরকার। কেন আমরা বিশ্বমানের বেশি বেশি সিনেমা তৈরি করতেন পারছি না, একথা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। নির্বাচন ঘিরে যা হচ্ছে এতে করে সাধারণ মানুষের মনে সিনেমা ও শিল্পীর উপর সাধারণ মানুষের নেগেটিভ ধারণার জন্ম হচ্ছে।
তার কথায়, শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে এতো কাদা ছোড়াছুড়ি যে পরিচিতদের মুখ থেকে নানা ধরনের কটু কথা শুনতে হয়। নির্বাচনে হার জিত থাকবেই সেটা খুব সুন্দরভাবে মেনে নিয়ে মিলে মিশে কাজ করা উচিত। এটা তো শিল্পীদের সংগঠন। কোন রাজনৈতিক বা পেশি শক্তি প্রদর্শন এই নির্বাচনে কোনোভাবেই কাম্য নয়।