তীব্র শীতে সুস্থ থাকতে ১০ পরামর্শ
জেঁকে বসেছে শীত। হাড় কাঁপানো এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জনজীবন। অ্যাজমা, জ্বর-ঠাণ্ডা, ত্বকের শুষ্কতা, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধি এ সময়ের নিত্যসঙ্গী। তীব্র শীতে সুস্থ থাকতে জানানো হলো কিছু পরামর্শ—
- শীত উপযোগী গরম পোশাক ব্যবহার করুন। উলের পোশাক সরাসরি না ব্যবহার করাই ভালো। হালকা সুতির জামার ওপর উলের পোশাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ঘরের তাপমাত্রা উষ্ণ রাখতে রুম হিটার ব্যবহার করতে পারেন।
- শরীর উত্তপ্ত থাকে এমন খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। যেমন : পনির, মাখন, চর্বি, দুধের সর, ডিমের কুসুম ইত্যাদি। এ ছাড়া শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খেতে হবে। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল খাবারসহ বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এতে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।
- খেয়াল রাখুন যেন সব সময় আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে। গোসলের আগে নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল মাখুন। তবে সরিষার তেল ব্যবহার না করাই ভালো। কারণ, বিশুদ্ধ না হওয়ার কারণে এ থেকে ত্বকের সমস্যা বাড়তে পারে।
- শীতকালে গোসলের সময় সাবান ব্যবহার না করাই ভালো। এ সময় জীবাণুনাশক সাবান একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এতে ত্বকের ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতেও সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না।
- গোসলের পরে এবং রাতে ঘুমানোর সময় অন্তত দুবার ময়েশ্চরাইজার মাখুন। ঠোঁট ফাটার সমস্যায় ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন।
- সব সময় ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নিয়ম মেনে চলুন। সপ্তাহে অন্তত তিনবার শ্যাম্পু করুন।
- ছোটদের তেল মালিশ করা যেতেই পারে। তবে সরিষার তেল মাখিয়ে রোদে ফেলে রাখার যে রীতি প্রচলিত রয়েছে, তা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
- ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতে ঘরের বাইরে বেরোতে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যথাসম্ভব উত্তাপে থাকুন। সব সময় হাত ও পায়ের মোজা ব্যবহার করুন।
- এই শীতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে ভুলবেন না। শীতের এ সময়টুকু কাটুক বাড়তি সতর্কতায় ও সাবধানে।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।