ঈদ ভ্রমণে সুস্থ থাকতে সাত পরামর্শ
রোজা প্রায় শেষের দিকে। আসছে পবিত্র ঈদ। ঈদ মানে আনন্দ আর খুশি। অনেকের কাছে ঈদ মানে ইট-পাথরের শহর ছেড়ে নাড়ির টানে গ্রামের বাড়ি ফেরার আনন্দ, ব্যক্তিগত প্রশান্তি ও পারিবারিক মিলনমেলা।
এই আনন্দ যেন স্থায়ী হয়, তাই ঈদ ভ্রমণে চাই সতর্কতা। ঈদ ভ্রমণে স্বাস্থ্য সচেতনতায় পরামর্শ :
১. ভ্রমণের সময় বিশুদ্ধ পানি ও বাসায় বানানো পুষ্টিকর খাবার সঙ্গে রাখুন। বাইরের পানি ও যেকোনো বাইরের খাবার থেকে দূরে থাকুন। এতে খাদ্যে বিষক্রিয়াসহ পেটের নানা ধরনের পীড়া থেকে রক্ষা পাবেন।
২. যাত্রাপথে অপরিচিত কোনো লোকের দেওয়া পানি, খাবার খাবেন না।
৩. শিশুদের যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাই ঠাণ্ডা-কাশি বেশি হয়। ঠাণ্ডা, কাশি, অ্যালার্জি থেকে রক্ষার জন্য শিশুকে জানালার পাশে অথবা সরাসরি বাতাসের ঝাপটা লাগে এমন স্থানে বসতে না দেওয়াই ভালো। ঈদ ভ্রমণে শিশু, গর্ভবতী, প্রবীণদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন।
৪. দীর্ঘ ভ্রমণে কারো কারো পা ফুলে যেতে পারে, পায়ে অনুভূতি শক্তি কমে যেতে পারে। তাই পায়ে রক্ত চলাচল ঠিক রাখার জন্য মাঝেমধ্যে পা নড়াচড়া করুন; আসন থেকে উঠে দাঁড়ান।
৫. ভ্রমণে ঘাম বেশি হয়, ক্লান্তি বেশি লাগে, তাই সব সময় হালকা রং, আরামদায়ক ও সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরুন।
৬. ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ যেকোনো ক্রনিক রোগে আক্রান্ত রোগীসহ গর্ভবতী নারীরা ভ্রমণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনীয় সব ওষুধ সঙ্গে রাখুন। তবে কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।
৭. যাদের ভ্রমণ করলে বমি হয়, তারা ভ্রমণের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে বমির ওষুধ খেয়ে নিন। ভ্রমণের আগে ভারী খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সহজে হজম হয়, শক্তি দেয়, কম এসিডিটি করে, কম পানি পিপাসা লাগায় এমন খাবারই ভ্রমণের আগে খেতে হবে।
লেখক : সভাপতি বিশুদ্ধ খাদ্য চাই ও সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।