সত্যিকারের আয়রনম্যান!
সিনেমার আয়রনম্যান গতিতে ও শক্তিতে দুর্দান্ত এক সুপারহিরো। সিনেমা দেখার পর আমরা কল্পনা করি, আমাদের কল্পনার লৌহমানব উড়ে চলে বিমানের মতো, যুদ্ধ করে যন্ত্রের মতো, যেন এক দিগ্বিজয়ী বীর! সিনেমা বা কল্পনায় নয়, এমন সুপারহিরো এখন আমাদের হাতের নাগালে।
রিচার্ড ব্রাউনিং, একজন উদ্যোক্তা, তিনি গ্রাভিটি ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং চিফ টেস্ট পাইলট। ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল অনলাইনে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যায়, তিনি লৌহমানবের সাজে গড়েছেন নতুন এক রেকর্ড, স্থান পেয়েছেন গিনেস বুকে। তাঁর কৃতিত্ব, তিনি শরীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত জেড ইঞ্জিন দ্বারা আয়রনম্যান সেজে সর্বোচ্চ গতির মালিক হয়েছেন।
রিচার্ড গত বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডে অবস্থিত রিডিংয়ের লাগুনা পার্কে একটি অনুষ্ঠানে আয়রনম্যান হয়ে আকাশে উড্ডয়ন করেন এবং গিনেস বুকে নিজের নাম ওঠান।
গিনেসের প্রভীন প্যাটেল রিচার্ডের গতির সত্যতা নিরূপণের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দেখেন, রিচার্ড তৃতীয়বারের প্রচেষ্টায় প্রতি ঘণ্টায় ৩২.০২ মাইল বেগে ৩২৮ ফুট পথ অতিক্রম করেন এবং পার্কের লেকে পতিত হন। এই গতি বাস্তবের আয়রনম্যান হিসেবে গিনেস বুকে নাম লেখানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।
বাস্তবের আয়রনম্যান রিচার্ড বলেন, ‘ছয়টি কেরোসিন জ্বালানির মাইক্রো গ্যাস টারবাইনে চলা তার ওই যন্ত্রগুলো শরীর দ্বারা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।’ তিনি আরো জানান, বাতাসে নিয়ন্ত্রণ রাখতে তাঁকে অনেক অনুশীলন করে পেশিশক্তি বাড়িয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। আর এমন একটি জিনিস তৈরি করে গিনেস বুকে নাম লেখাতে পেরেছেন বলে তিনি খুব আনন্দিত বলেও জানান রিচার্ড।