ভাত বা পোলাওয়ের সাথে সুস্বাদু বিফ ঝাল ফ্রেজি রান্না
গরুর মাংসের যে শুধু ক্ষতিকর দিক রয়েছে, তা নয়। এতে নানান পুষ্টি উপাদানও রয়েছে, যা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকারী। তবে রেড মিট সব সময় পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে। আজ আমরা জানাব, কীভাবে বাসায় সহজে ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে বিফ ঝাল ফ্রেজি রান্না করবেন।
গরুর মাংস রান্না করার আগে সেদ্ধ করে পানি ফেলে দিলে চর্বি অনেকটা কেটে যায়। আমাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করার জন্য গরুর মাংস খেতে পারি। গরুর মাংসে আয়রন রয়েছে। ১৫ দিনে একবার গরুর মাংস খাওয়া যেতে পারে।
ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে, যা গরুর মাংসের ফ্যাটকে ব্যালেন্স করে ফেলে। আর পেঁয়াজ পাতায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও সি রয়েছে। পেঁয়াজ পাতা মাথাব্যথা দূর করে। মাইগ্রেনের সমস্যায় পেঁয়াজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করে খেলে উপশম পাওয়া যায়।
এনটিভির রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান টেল প্লাস্টিকস রান্নাঘর-এর একটি পর্বে বিফ ঝাল ফ্রেজির রেসিপি দেওয়া হয়েছে। রেসিপিটি তৈরি করেছেন রন্ধনশিল্পী রাহিমা সুলতানা রীতা। খাবারের পুষ্টিগুণ বর্ণনা করেছেন পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিক। আসুন, আমরা জেনে নিই বাসায় সহজে বিফ ঝাল ফ্রেজি রান্নার পদ্ধতি। তার আগে চলুন দেখে নিই কী কী উপকরণ লাগবে—
উপকরণ
১. ৫০০ গ্রাম সেদ্ধ গরুর মাংস
২. পরিমাণমতো তেল ও ঘি
৩. দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি
৪. এক চা চামচ আদা বাটা
৫. দুই চা চামচ রসুন বাটা
৬. এক চা চামচ গরম মসলার পাউডার
৭. পরিমাণমতো পানি
৮. তিন টেবিল চামচ গ্রিন ক্যাপসিকাম
৯. স্বাদমতো লবণ
১০. দুই টেবিল চামচ টমেটো সস
১১. তিন চা চামচ চিলি সস
১২. দুই টেবিল চামচ কাঁচামরিচ কুচি
১৩. সামান্য পরিমাণ পেঁয়াজ পাতা
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে ফ্রাইপ্যানে ঘি ও তেল দিন। এতে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, গরম মসলার গুঁড়ো, পানি, সেদ্ধ গরুর মাংস ও লবণ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। সবশেষে টমেটো সস, চিলি সস, পেঁয়াজ পাতা ও কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করুন।
এবার নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার বিফ ঝাল ফ্রেজি। এ রেসিপিটি সহজে প্রস্তুত করতে ও রন্ধন প্রণালি সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটিতে ক্লিক করুন।