রেস্তোরাঁর স্বাদে কিমা পোলাও রেসিপি
অনেকে পোলাও খেতে পছন্দ করেন। আমরা নানাভাবে পোলাও তৈরি করতে পারি। আজ আমরা জানাব, কীভাবে বাসায় সহজে ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে কিমা পোলাও রান্না করবেন।
আমরা এ রান্নায় ঘি ব্যবহার করব। তবে যাঁদের কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে, তারা ঘি পরিহার করবেন। আমরা এ রেসিপিতে মাশরুম ও বাঁধাকপি ব্যবহার করব। এ দুই সবজিতে রয়েছে প্রচুর খাদ্য আঁশ, যা আমাদের হজমে সাহায্য করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পুদিনা পাতা আমাদের রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে এবং হার্ট সুস্থ রাখে। সেই সঙ্গে খাওয়ার একঘেয়েমি ভাব দূর করে পুদিনা পাতা।
এনটিভির রান্নাবিষয়ক অনুষ্ঠান টেল প্লাস্টিকস রান্নাঘর-এর একটি পর্বে কিমা পোলাওয়ের রেসিপি দেওয়া হয়েছে। রেসিপিটি তৈরি করেছেন রন্ধনশিল্পী রাহিমা সুলতানা রীতা। খাবারের পুষ্টিগুণ বর্ণনা করেছেন পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিক। আসুন, আমরা জেনে নিই বাসায় সহজে কিমা পোলাও রান্নার পদ্ধতি। তার আগে চলুন দেখে নিই কী কী উপকরণ লাগবে—
উপকরণ
১. দুই টেবিল চামচ ঘি
২. পরিমাণমতো তেল
৩. দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজ কুচি
৪. এক চা চামচ রসুন বাটা
৫. এক চা চামচ আদা বাটা
৬. ৫০০ গ্রাম গরুর মাংস
৭. পরিমাণমতো পানি
৮. তিনটি দারুচিনি ও তেজপাতা
৯. এক চা চামচ গরম মসলার গুঁড়ো
১০. দুই টেবিল চামচ পেঁয়াজ বেরেস্তা
১১. এক চা চামচ জাফরান
১২. এক কাপ সবজি
১৩. এক কাপ সেদ্ধ ভাত
১৪. দুই চা চামচ পুদিনা পাতা
১৫. তিন টেবিল চামচ কাঁচামরিচ কুচি
১৬. সাত-আটটি কিসমিস
১৭. আধা কাপ তরল দুধ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে ফ্রাইপ্যানে ঘি ও তেল দিন। এতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, আদা বাটা, গরুর মাংস কিমা, পানি, দারুচিনি ও তেজপাতা দিয়ে সেদ্ধ করুন।
সেদ্ধ হয়ে গেলে জাফরান, সবজি, সেদ্ধ ভাত, পুদিনা পাতা কুচি, কাঁচামরিচ কুচি, কিসমিস ও তরল দুধ দিয়ে ঢেকে ১০ মিনিট দমে রাখুন। রান্না হয়ে গেলে নামিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন দারুণ স্বাদের কিমা পোলাও। এ রেসিপিটি সহজে প্রস্তুত করতে ও রন্ধন প্রণালি সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটিতে ক্লিক করুন।