রেস্তোরাঁ অথবা রান্নার একাডেমি দেব : উম্মে কুলসুম
গতকাল রোববার রাত ৯টায় এনটিভিতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘রূপচাঁদা-ডেইলি স্টার সুপার শেফ ২০১৫’-এর চূড়ান্ত পর্ব। প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রামের চিকিৎসক উম্মে কুলসুম। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। পুরস্কার জেতার পর এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন বিজয়ী উম্মে কুলসুম।
প্রশ্ন : চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কেমন লাগছে? চূড়ান্ত বিজয়ী হওয়ার কথা কি আগে ভেবেছিলেন?
উত্তর : আমি ভীষণ খুশি। আমি কখনো ভাবিনি জয়ী হব। কিন্তু আমার স্বামীর আত্মবিশ্বাস ছিল আমি জয়ী হব। প্রতিযোগিতায় আসার আগে ও পরে আমার স্বামীই আমাকে বেশি উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কুলসুম, তুমি প্রথম না হলেও অবশ্যই দ্বিতীয়, তৃতীয় হবে। কারণ তুমি রাঁধো দারুণ।’ আমার ভাইয়েরও আত্মবিশ্বাস ছিল। পুরস্কার জেতার পর সব চেয়ে খুশি হয়েছেন আমার স্বামী, আমার মা ও ভাই।
প্রশ্ন : ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন। টাকা দিয়ে কী করবেন?
উত্তর : এখনো পরিকল্পনা করিনি। আপাতত ব্যাংকে টাকাটা রেখে দেব। ভবিষ্যতে টাকাটা দিয়ে একটা রেস্তোরাঁ অথবা একটা কুকিং একাডেমি দেব। আমার সহকর্মীরাও আমার এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হবেন। আশা করছি আমরা সবাই মিলে ভালো কিছু একটা করব।
প্রশ্ন : আপনি কি রান্না শিখেছিলেন?
উত্তর : না, শেখার মতো করে শিখিনি। মা যখন রান্না করত, তখন আমি তাকে সাহায্য করতাম। মায়ের রান্নার কৌশলটা আসলে আমি রপ্ত করেছি। কিন্তু মায়ের কাছে থাকতে আমি খুব একটা রান্না করিনি। ২০০২ সালে চট্টগ্রাম থেকে আমি ঢাকায় পড়াশোনার জন্য আসি। ঢাকায় আমি আর আমার ভাই মিলে একসঙ্গে থাকতাম। খাবার আমি রান্না করতাম। তারপর বিয়ের পর তো এখন নিয়মিত রান্না করছি। আমার কোনো সাহায্যকারী নেই।
প্রশ্ন : চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কোন খাবার রাঁধতে আপনি বেশি পছন্দ করেন?
উত্তর : শুঁটকি মাছ ও গরুর মাংস। প্রতিযোগিতায় আমি শুঁটকি রান্না করেছিলাম। বিচারকরা আমার রান্নার অনেক প্রশংসা করেছিলেন।