বইপোকা
তরুণদের বইপ্রীতি বাড়াতে চায় পিবিএস
বইয়ের দোকানের গৎবাঁধা ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে একটু আলাদা আয়োজন করতে চাওয়া থেকেই গড়ে উঠেছিল পাঞ্জেরী বুকশপ। শুধু বইয়ের দোকান নয়, বইয়ের পাশাপাশি মিউজিক ও ক্যাফে নিয়ে রাজধানীতে গড়ে ওঠে এ বইয়ে দোকান বছর সাতেক আগে। সব বয়সী পাঠকের মাঝে মননশীল পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে দেশি-বিদেশি বইয়ের বিচিত্র সমাহার রয়েছে এই দোকান। নতুন প্রজন্মকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে ২০১০ সালে পাঞ্জেরী বুকশপ সংক্ষেপে পিবিএস যাত্রা শুরু করে।
দুইতলাবিশিষ্ট বুকশপে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সুরের মূর্ছনা শোনা যাবে। দৃষ্টিনন্দন বইসজ্জা পাঠককে দেবে অন্য রকম আনন্দ। এখানে রয়েছে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় রচিত দেশি-বিদেশি পাঠ্যবই, উপন্যাস, কাব্যগ্রন্থ, প্রবন্ধ সংকলন, শিক্ষণীয় সিডি/ডিভিডি, গবেষণাগ্রন্থ ও সব ধরনের স্টেশনারি সামগ্রী। এ ছাড়া এখানে রয়েছে একটি ক্যাফে ও জুস বার।
প্রতি শুক্রবার সকাল ১০টা ৩০ থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত শিশুদের জন্য 'একজোড়া বিনোদন ঘণ্টা' নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ম্যাজিক শো, শিক্ষামূলক মুভি শো, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হয়। এ ছাড়া এখানে ৩০ আসনবিশিষ্ট একটি থ্রিডি থিয়েটার রয়েছে। থিয়েটারে ৫০ টাকা টিকেটের বিনিময়ে শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র দেখানো হয়। এখানে রয়েছে 'ইয়ং-রিডার্স' নামে একটি ফোরাম। ১৬ বছর বয়সের বেশি যেকোনো ব্যক্তি এ ফোরামের সদস্য হতে পারেন। সদস্যরা বই ক্রয়ের সময় বিশেষ ছাড় পায়, পিবিএসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের নিমন্ত্রণ দেওয়া হয় এবং নতুন বই এলে তাঁদের জানানো হয়।
পিবিএস কর্তৃপক্ষের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো, এই বুকশপের কার্যক্রম প্রতিটি জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া, যাতে পাঠক সহজে পেতে পারে তার পছন্দের বই।
পিবিএসের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ অফিসার আসফাক আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘পিবিএসে এসে কোনো পাঠক ফেরত যায় না, সব শ্রেণির জন্যই বই আছে এখানে। দেশি-বিদেশি কোনো বই না থাকলে, পাঠক চাইলে আমরা তা দুই সপ্তাহের মধ্যে পাঠককে এনে দিই। পিবিএস হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম চেইনশপ এবং বৃহত্তম লাইব্রেরি।’
পিবিএসের পাঠক রুপল আহমেদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বই কেনার প্রয়োজন হলেই প্রথমে আমার যেই লাইব্রেরির কথা মাথায় আসে তা হচ্ছে পিবিএস। বই কেনার সঙ্গে একটু বিনোদন, কফি খাওয়া এবং মুভি দেখা সব মিলিয়ে এখানে এলে আমি আমার সব ব্যস্ততাকে ভুলে যাই।’
প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। ঢাকার শান্তিনগর ছাড়াও বর্তমানে পিবিএসের ধানমণ্ডি ও উত্তরায়ও শাখা রয়েছে।