সুন্দরের খোঁজে ৩৭ দেশে
সুন্দর কী - প্রশ্নটির উত্তর জানার অদম্য ইচ্ছার কাছে তাঁর জীবনের সবকিছুই তুচ্ছ হয়ে ওঠে। সুন্দরের খোঁজে মাত্র ২৯ বছর বয়সে চাকরি ছেড়ে বিশ্ব দেখতে বের হন রোমানিয়ার তরুণী মিহায়লা নোরক। দুই বছর আগের কথা সেটি। এই সময়ের মধ্যেই তিনি বিশ্বের ৩৭টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। অ্যান্টার্কটিকা বাদে সব মহাদেশই দেখেছেন তিনি। আর ক্যামেরায় তুলে এনেছেন ওই দেশগুলোর সংস্কৃতিতে নারীর সৌন্দর্য।
বিজনেস ইনসাইডারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভ্রমণে বের হয়ে মিহায়লা নোরক ‘দি অ্যাটলাস অব বিউটি’ নামক প্রকল্প হাতে নেন, যার অর্থ ‘সুন্দরের মানচিত্র’। যে অঞ্চলে গিয়েছেন, সেখানকার সংস্কৃতির দৃষ্টিতে সুন্দর - এমন নারীর ছবি তুলেছেন। কয়েক শ ছবি তুলেছেন মিহায়লা। আমাজান জঙ্গলে থাকা আদিবাসী নারী থেকে নিউইয়র্ক শহরের চলতি পথের নারী - সবই ফুঁটে উঠেছে তাঁর ক্যামেরায়।
‘দি অ্যাটলাস অব বিউটি’ প্রকল্পের জন্য অদ্ভুত নিয়ম মেনেছেন মিহায়লা। শুধু নিজের বয়সী নারীর ছবিই এতে বেছে নিয়েছেন। এই অদ্ভুত নিয়মের কারণ হিসেবে তিনি জানান, বিভিন্ন সংস্কৃতির সুন্দরের সঙ্গে তাঁর ও পাঠকদের তুলনা করতেই তিনি এ কাজ করেছেন।
মিহায়লা নোরক পাঁচটি ভাষা জানেন। তাই ছবি তোলা ও ভ্রমণের সময় ভাব বিনিময়ে তাঁকে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়নি। নারীর প্রকৃত সৌন্দর্য তুলে আনার লক্ষ্যে নির্দিষ্ট সংস্কৃতির নারীর সঙ্গে কথা বলে তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছেন।
ছবি তোলার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে মিহায়লা নোরক বলেন, সাধারণত তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে খোঁজখবর চালাতেন। নির্দিষ্ট কাউকে পছন্দ হলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে ছবি তোলার সময় ঠিক করে নিতেন। তবে অনেক সময় চলতি পথেই হঠাৎ সুন্দর চোখে পড়ত। তখন পোর্টেট তোলার জন্য হয়তো ৩০ সেকেন্ড সময়ও পাওয়া যেত না।
মিহায়লা নোরক বলেন, ‘আমি এখন বলতে পারি, পৃথিবীর সব জায়গায়ই সুন্দর আছে। সুন্দরের সঙ্গে প্রসাধন, অর্থ, জাতিসত্তা বা সামাজিক অবস্থানের কোনো সম্পর্ক নেই। বরং সুন্দর হলো নিজের মতো থাকা।’
‘দি অ্যাটলাস অব বিউটি’ প্রকল্পের ছবিগুলো দেখতে চাইলে ক্লিক করুন।