ধনী হতে দশ পদক্ষেপ
জন্মসূত্রে সবাই বিত্তশালী হন না। চরম দরিদ্র অবস্থা থেকে শীর্ষ বিত্তশালী হয়েছেন এমন মানুষ পাবেন অজস্র। প্রশ্ন একটাই, কিভাবে? কেবলই কি ভাগ্য? নাকি আরো অন্যকিছু? ক্যারিয়ার-বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্যারিয়ার অ্যাডিক্ট বলছে, আপনার প্রতিদিনের ছোটখাটো কর্মকাণ্ডই নির্ধারণ করে দেবে আপনার মানিব্যাগের স্বাস্থ্য কেমন থাকবে! এমনই দশটি অভ্যাস বা কাজকর্ম জেনে নিন এক নজরে-
১. প্রতিদিনের লক্ষ্য স্থির করুন
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাই সব নয়। প্রতিদিনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেলুন। সারাদিনে কী করবেন তা তালিকা করুন প্রতিদিন। দিনশেষে মিলিয়ে নিন যে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলো কি না। সে অনুযায়ী পরের দিনের কর্মপন্থা ঠিক করুন।
২. মনোযোগী শ্রোতা হোন
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। অন্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলে বুঝবেন যে আপনার কাছে অন্যদের চাহিদা কী। যেমন ধরুন, আপনি যদি ব্যবসা শুরু করতে চান তো সে ক্ষেত্রে আপনি যত কম কথা বলবেন এবং মনোযোগ দিয়ে কথা শুনবেন-ততই লাভ!
৩. স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখুন
নিয়মিত ব্যায়াম, প্রয়োজনীয় ও পরিমিত খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীর ভালো থাকবে। এতে আপনি দরকারী কাজ আরো দ্রুত এবং সহজে সম্পন্ন করতে পারবেন।
৪. সবার সাথে যোগাযোগ
যোগাযোগ বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখুন। সঠিক সময়ে সঠিক মানুষ বা কাজের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারলে অর্থবিত্ত একসময় আপনার পেছনেই দৌড়াবে। অনেকের মাঝেও যেন আপনাকে আলাদা করে চেনা যায়, সে অবস্থানটা সৃষ্টি করাটা আপনার জন্য জরুরি।
৫. টেলিভিশন কম দেখুন
সফল ব্যক্তিদের অনেকেই টেলিভিশন দেখায় বিশেষ সময় ব্যয় করেন না। অনেকে তো টেলিভিশনের ধারেকাছেও থাকেন না। কেন? কারণ টেলিভিশন দেখে সময় ব্যয় না করে বরং অন্য কোনো কিছু করলে সেটা তো কাজে দেবে!
৬. পড়ুন প্রতিদিন
প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা শেষ হয়ে গেছে বলে কি আর পড়া যায় না? প্রতিদিন পড়ার অভ্যাস রাখুন। এটা যেকোনো কিছু হতে পারে। আপনার পছন্দের কোনো গল্পের বই, ক্যারিয়ারের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়াশয়, গণিত কিংবা উপন্যাস, চারপাশের খবর, যেকোনো কিছু। দিনে অন্তত ৩০ মিনিট নিয়মিত পড়ার অভ্যাস বজায় রাখুন।
৭. দক্ষতার উন্নয়ন
নিজের যা গুণাগুণ বা পারদর্শিতা আছে, সেগুলোতে আরো পটু হয়ে উঠুন। আপনার কর্মদক্ষতা যত শাণিত হবে, আপনার ক্যারিয়ারের পথও হবে তত মসৃণ। তখন দেখবেন টাকা-পয়সা যেন নিজেই আপনার দিকে হেঁটে আসছে! আপনি যেসব কাজে দক্ষ, তাতে দক্ষতা এমন পর্যায়ে নিয়ে যান যাতে ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কেউই আপনাকে টপকাতে না পারে।
৮. ইতিবাচক চিন্তা করুন
ইতিবাচক চিন্তা কেবল একটি অভ্যাস নয়, জীবনে সঠিক পথচলার নির্দেশনা। স্বকেন্দ্রিক এবং নেতিবাচক চিন্তাগুলোকে মাথা থেকে ঝেঁটিয়ে সাফ করুন, দেখবেন সাফল্য আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসবে সহজে। আশাবাদী হোন, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যাচাই করুন সবকিছু। দেখবেন নতুন সব সুযোগ আসছে আপনার জন্য।
৯. মিতব্যয়ী হোন
গবেষণা দেখিয়েছে যে পরিমিত খরচের মাধ্যমে মানুষ বিত্তশালী হতে পারে সহজেই। আপনি যদি প্রতিদিনের খরচ থেকে একটি অংশ সঞ্চয় করতে পারেন এবং অপ্রয়োজনীয় খরচ না করেন, অবশ্যই আপনি বিত্তশালী হয়ে উঠতে পারবেন কম সময়ে।
১০. সমমনাদের সাথে চলুন
যারা চিন্তাভাবনায় আপনার কাছাকাছি, তাদের সাথে চললে আপনার সঞ্চয় কিংবা কার্যক্রমে কোনো বিপত্তি ঘটবে না। কেবল তাই না, ধনী হয়ে উঠবার পথে যেসব লক্ষ্য আপনার পূরণ করা দরকার-সেগুলো আপনি অর্জন করতে পারবেন সহজেই।