অলিভ অয়েলের ছয়টি ভিন্ন ব্যবহার
অলিভ অয়েল ভালো ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। এ ছাড়া রান্নায়ও এটি বেশ কার্যকর। কিন্তু আপনি কি জানেন অলিভ অয়েলের আরো অনেক ব্যতিক্রমী ব্যবহার রয়েছে? না জেনে থাকলে আজই জেনে নিন অলিভ অয়েল আমাদের জীবনযাপনে কতভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
রিডার্স ডাইজেস্টে অলিভ অয়েলের ব্যতিক্রমী ব্যবহারের কিছু দিক তুলে ধরা হয়েছে। চলুন, একনজরে জেনে নিন অলিভ অয়েল কোন কোন কাজে লাগে :
চুলের কন্ডিশনার
রুক্ষ চুলে প্রাণ ফিরিয়ে আনে অলিভ অয়েল। এটি চুলে কন্ডিশনারের কাজ করে। অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে মাথায় দিয়ে একটি তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন। ৪৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল নরম ও প্রাণবন্ত হয়।
ব্রণ দূর করে
ব্রণ দূর করতে অলিভ অয়েল বেশ কার্যকর। চার টেবিল চামচ লবণের সাথে তিন টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে পুরো মুখে মাখুন। এক থেকে দুই মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রথম সপ্তাহে প্রতিদিন এটি ব্যবহার করুন। পরের সপ্তাহ থেকে দুই থেকে তিনদিন ব্যবহার করুন। দেখবেন, ধীরে ধীরে ব্রণ কমে যাবে।
শেভিং ক্রিমের কাজ করে
অনেক সময় শেভিং ফোম ব্যবহারের ফলে ত্বক খসখসে হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অলিভ অয়েল বেশ ভালো কাজ করে। ত্বককে নরম রাখে তাই খুব সহজেই শেভ হয়ে যায়। এবং এটি শেভের পর ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। অলিভ অয়েল ব্যবহারের পর আপনি হয়তো আর শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে চাইবেন না।
হাতের কালির দাগ দূর করে
এক চা চামচ অলিভ অয়েল এবং এক চা চামচ লবণ একসাথে মিশিয়ে দুই হাতে ভালো করে ঘষে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এবার সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন। এভাবে হাতে লেগে থাকা কালির দাগ, খাবার পর চর্বির দাগ খুব সহজেই উঠে যাবে এবং হাতের ত্বক নরম হবে।
চুলে লেগে থাকা রং দূর করে
যদি দেয়ালের কাঁচা রং ভুল করে আপনার চুলে লেগে যায়, তাহলে অলিভ অয়েলের মাধ্যমে অনেক দ্রুত চুল থেকে সেই রং তুলতে পারবেন। তুলায় করে অলিভ অয়েল নিয়ে চুলে ঘষলে রং উঠে যাবে। আবার চোখের মাশকারা ওঠাতেও অলিভ অয়েল বেশ কার্যকর। শুধু ব্যবহারের আগে চোখে পানি দিয়ে নিন।
ফার্নিচারে পলিশের কাজ করে
কাঠের ফার্নিচারে খুব ভালো পলিশের কাজ করে অলিভ অয়েল। একটি বোতলে দুই ভাগ পরিমাণ অলিভ অয়েল, এক ভাগ লেবুর রস অথবা সাদা ভিনেগার মিশিয়ে নিন। ভালো করে ঝাঁকিয়ে একটি তোয়ালেতে নিয়ে ভালো করে ফার্নিচার ঘষে নিন। এতে ফার্নিচার আগের মতো উজ্জ্বল হবে।