মাছ টাটকা নাকি বাসি? জেনে নিন পাঁচ উপায়
বর্তমান সময়ে বাজার করা খুবই কঠিন কাজ। তার মধ্যে আবার খাবারে প্রতিনিয়ত ভেজাল দেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর নির্ভেজাল পণ্য কেনা মানেই হাজারো ভেজালের মধ্যে মানসম্মত পণ্য খুঁজে বের করা। তবে বিষয়টি খুবই চ্যালেঞ্জিং। অন্যান্য জিনিসের মতো মাছ চেনা অর্থাৎ মাছ কেনা খুব সহজ বিষয় নয়। তবে মাছ চেনার বেশ কয়েকটি উপায় রয়েছে। অনেক মাছ ব্যবসায়ী টাটকা মাছের কথা বলে বাসি, পঁচা মাছ গছিয়ে দেন। তাই প্রতারিত হওয়ার আগেই কয়েকটি সহজ টিপস জেনে নিন।
মাছের কানকোর রঙ
মাছ শনাক্ত করার সর্বোত্তম উপায় হলো কানকোর রং দেখে চেনা। যদি কানকো রক্তের মতো লাল হলে বুঝতে হবে মাছটি টাটকা। তবে, কানকোর রঙ সামান্য বাদামী এবং ফ্যাকাসে হলে মাছটি তাজা নাও হতে পারে। অনেক দোকানের মালিক ত্রেতাকে ঠকাতে কানকোতে রক্ত লাগায়। এ ক্ষেত্রে রক্ত ধুয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
মাছের চোখ
চোখ দেখে বুঝা যায় মাছটি টাটকা নাকি বা পচা। টাটকা মাছের চোখ চকচক করে। টাটকা মাছের স্পষ্ট কালো রংটা দেখা যায়। আর বাসি কিংবা পচা মাছ হলে মাছের চোখ হলুদ হয়ে যায়।
মাছের গন্ধ
মাছের গন্ধ বলে দেবে মাছটি টাটকা না বাসি। সাধারণত মাছের গায়ে পানির আঁশটে গন্ধ থাকে। তবে এই গন্ধ খুব বেশি চড়া হলে তা সন্দেহজনক। বাসি বা পচা মাছ হলে গন্ধ বদলে যায়। অনেকে রাসায়নিক দিয়ে সেই গন্ধ ঢাকেন। সেক্ষেত্রে আঁশটে গন্ধও বেরোয় না। তাই একেবারে গন্ধ না বেরোলেও সতর্ক হতে হবে।
মাছের ত্বক
মাছের ত্বক দেখলেও বোঝা যাবে মাছটি বাসি বা টাটকা নয়। টাটকা মাছের ত্বকটা চকচকে থাকে। মাছটি হাত দিয়ে ধরলে এটি প্রায়শই পিছলে যায়। কিন্তু বাসি মাছে এ গুণ থাকে না। বাসি মাছ সহজে ধরা যায় এবং ত্বক উজ্জ্বল হবে না।
মাছের আঁশ
মাছটি টাটকা নাকি বাসি তা বোঝা যাবে মাছের আঁশ ছাড়ানোর সময়। টাটকা মাছের পেশিগুলো একটু শক্ত। তাই আঁশ অপসারণ করা কঠিন। তবে বাসি মাছের আঁশ আলগা হয়ে আসে।