রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র
ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এমন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে পেন্টাগন।
যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়মিতই ইউক্রেনে ব্যাপক সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে হচ্ছে। এর ফলে দেশে যে ঘাটতি সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণের জন্যই উৎপাদন বাড়ানোর এই পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ইউক্রেন প্রতিদিন ৫০০ জ্যাভেলিন ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৫০০ স্টিঙ্গার বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র চায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রকে পাঠানো একটি তালিকায় অস্ত্রের এই চাহিদার কথা উল্লেখ করেছে ইউক্রেন।
গত ৭ মার্চ পর্যন্ত অর্থাৎ, যুদ্ধের দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো প্রায় ১৭ হাজার ট্যাংক-বিধ্বংসী এবং ২ হাজার বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে।
তখন থেকে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ নিশ্চিতভাবেই বেড়েছে। তবে সেই সংখ্যা কত সেটি জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। নিজেদের অস্ত্রভান্ডারের এই ঘাটতিই এখন উৎপাদন বাড়িয়ে পূরণ করতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত ১৬ মার্চ হোয়াইট হাউজ ঘোষণা দিয়ে জানায়, তারা ইউক্রেনকে সামরিক সহযোগিতা বাবদ ৮০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র দেবে। তা ছাড়া, আরও বড়তি ৮০০ স্টিঙ্গার বিমান-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা এবং ২,০০০ জ্যাভেলিন ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা দেওয়ারও ঘোষণা দেয় হোয়াইট হাউজ।
স্টিঙ্গার উৎপাদন যুক্তরাষ্ট্র বন্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিদেশ থেকে অস্ত্র বিক্রির অর্ডার পূরণের জন্য ফের উৎপাদন শুরু করেছে দেশটি।
ওদিকে, জ্যাভেলিন ট্যাংক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন পুরোদমে চললেও তা এখন আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।