বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরগুলোকেও সমান তালে এগিয়ে আসতে হবে।

আজ রোববার ঢাকার শেরে বাংলা নগরে পর্যটন ভবনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর আমাদের অনেক বাণিজ্য সুবিধা থাকবে না, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে হবে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের জিএসপি প্লাস বাণিজ্য সুবিধা দিলেও অনেক শর্ত পূরণ করতে হবে। বাণিজ্য সুবিধা আদায় করতে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করতে হবে। এ জন্য সাময়িক ভাবে আমরা কিছু শুল্ক হারালেও দীর্ঘ মেয়াদে আমরা লাভবান হবো।’

‘উন্নতবিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হলে যোগ্য ও দক্ষ মানুষ গড়ে তুলতে হবে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশী দক্ষ জনশক্তির ওপর নির্ভর করলে চলবে না। আমাদের কাজ আমাদেরই দক্ষতার সঙ্গে করতে হবে। যোগ্য ও দক্ষ মানুষগুলোকে কাজে লাগিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে।’

‘আমাদের সক্ষমতা অর্জনের বিকল্প নেই’ মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এলডিসি’র চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হতে হবে।’ 

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, প্ল্যানিং কমিশনের অ্যাগ্রিকালচার, ওয়াটার রিসোর্স অ্যান্ড রুরাল ইনস্টিটিউশনস ডিভিশনের সদস্য (সচিব) শরিফা খান এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড টেরিফ কমিশনের সদস্য (পিআরএল) ড. মোস্তফা আবিদ খান। 

আলোচনায় অংশ নেন পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউটের  চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যান্যুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, এনবিআর সদস্য (কাস্টমস পলিসি) মো. মাসুদ সাদিক এবং এফবিসিসিআই উপদেষ্টা মনজুর আহমেদ। 

ওয়ার্কশপের টেকনিকেল সেশন-২-এ ডব্লিউটিও ইস্যুজ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এক্সপার্ট নেসার আহমেদ, বিআইডিএসের রিসার্স ডিরেক্টর ড. মনজুর হোসেইন এবং পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ।