আদিবাসী দিবসে ১১ দফা দাবি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর
আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে ১১ দফা দাবি জানিয়েছেন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নেতারা। আজ মঙ্গলবার এই দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম এর উদ্যোগে এই দাবিগুলো তুলে ধরতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে ‘বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম’র নেতারাসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, নাট্যকার মামুনুর রশীদ, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, মানবাধিকারকর্মী খুশি কবির, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ১১ দফা দাবি
১. আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারসহ আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।
২. আদিবাসীদের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও ভূমির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. আদিবাসী নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে সময়সূচিভিত্তিক রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। ভূমি কমিশন আইন অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে।
৫. সমতল অঞ্চলের আদিবাসীদের পৃথক মন্ত্রণালয় ও ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।
৬. আদিবাসীদের ভূমিতে তাদের স্বাধীন পূর্বসম্মতি ছাড়া ইকোপার্ক, সামাজিক বনায়ন, টুরিজম, ইপিজেড বা অন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা চলবে না।
৭. আদিবাসীদের ওপর সব নিপীড়ন-নির্যাতন বন্ধ করাসহ সব মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২০০৭ সালে গৃহীত আদিবাসী বিষয়ক ঘোষণাপত্র ও আইএলও ১৬৯ নম্বর কনভেনশন অনুসমর্থন ও আইএলও কনভেনশন ১০৭ বাস্তবায়ন করতে হবে।
৯. জাতীয় সংসদে আদিবাসীদের জন্য বিশেষ কোটা সংরক্ষণ বা আসন বরাদ্দ রাখতে হবে।
১০. সরকারি প্রথম শ্রেণিতে পূর্বের মতো আদিবাসী কোটা সংরক্ষণ করতে হবে এবং অন্যান্য চাকরিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি কোটা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
১১. রাষ্ট্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উদযাপন করতে হবে।