ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর মাদক পরীক্ষার ফল নেগেটিভ
সম্প্রতি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন ও তাঁর বন্ধুদের একটি পার্টিতে নাচতে ও গাইতে দেখা গিয়েছিল। সেই পার্টির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পরে সেটা নিয়ে দেশটিতে তাঁর খুব সমালোচনা হয়।
বিরোধীরাও নানা ভাবে তাঁর মর্যাদাহানি করতে উঠে-পড়ে লেগেছিল। তাঁর নামে মাদক নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সানা তখন মাদক পরীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নেন। অবশেষে সেই মাদক পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলো ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর।
বিবিসি বলছে, সোমবার ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের ড্রাগ টেস্টের রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। সেখানে বলা হয়েছে, ড্রাগ টেস্টে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দেহে কোনো ধরনের মাদকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পার্টি করার ভিডিও ছড়িয়ে পরার পর কথা ওঠে প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন হয়ত মাদক সেবন করেছিলেন। বিষয়টি পরিস্কার করতে ড্রাগ টেস্ট করান তিনি।
ড্রাগ টেস্টের ফলাফলের ব্যাপারে একটি বিবৃতিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বলেছে, ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর ড্রাগ টেস্ট করানো হয়। এই টেস্টে কোনো মাদকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
৩৬ বছর বয়সি সানা মারিন শুরু থেকেই বলে আসছেন, তিনি পার্টিতে শুধু অ্যালকোহল পান করেছেন কোনো মাদক নেননি। পার্টিতে অংশগ্রহণকারী কাউকে তিনি মাদক নিতেও দেখেননি। এমনকি জীবনে কখনো কোনো দিন মাদক ব্যবহার করেননি তিনি।
২০১৯ সালে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মারিন। তবে এবারই প্রথম সমালোচনার মুখে পড়লেন মারিন, তা নয়। পার্টি করার কারণে এর আগেও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে করোনার ঝুঁকির মধ্যেও রাতভর পার্টি করায় সেবার সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।