‘মানসিকতার পরিবর্তন চাই বাংলাদেশ দলের’
এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে বারবার মানসিকভাবে শক্ত থাকার বার্তা শোনা গিয়েছিল বাংলাদেশ দলে। হার-জিত যাই হোক, যেন প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়তে পারে সেই মানসিকতাই দেখতে চেয়েছিল সবাই।
কিন্তু আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেই দেখা গেল উল্টো চিত্র। আগ্রাসী মনোভাব ও খেলার ছন্দ কোনোটাই ধরা পড়েনি। যা দেখে রীতিমতো হতাশ দলের সঙ্গে থাকা টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। বাংলাদেশ দলের মানসিকতার পরিবর্তন চান বিসিবির এই পরিচালক।
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ মাঠে নামার আগে খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন, ‘আমরা যে মানসিকতার পরিবর্তনের কথা বলছিলাম, অভিপ্রায় দেখানোর কথা বলছিলাম, সেটা আমি দেখতে পাইনি বলে, আমি বেশি হতাশ। হারাটার জন্য বড় হতাশ না। হারতেই পারি। এমন না, বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত জিতি বলে আমাদের খারাপ লাগছে যে, জিততে পারিনি। আমার কথা হচ্ছে, আমরা যদি জিততে চাই। জেতার জন্য প্রথম যে শর্ত, সেগুলো আমরা মানছি না আসলে।'
সাবেক এই ক্রিকেটার আরও বলেছেন, 'আমাদের ব্যাটিংয়ের উন্নতিটা খুব প্রয়োজন। আমাদের টপ অর্ডারে সবচেয়ে বড় সমস্যা, উদ্বোধনী জুটি ক্লিক করছে না কোনোভাবেই। আমি আশা করি, যারাই খেলবে ওপেনিংয়ে, তাদের যে পরিকল্পনা থাকবে, সেটা অনুযায়ী ব্যাট করবে। প্রথম বলেই ওদের কেউ মারতে গিয়ে আউট হতে পারে, এটা ঠিক আছে, আমি মেনে নেব। যখন অভিপ্রায় দেখি না তখনই আমাদের কষ্ট হয় বেশি। আমি ওই অভিপ্রায়টাই দেখতে চাই। মানসিকতার পরিবর্তন দেখতে চাই।'
এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়নি। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। টানা দুই জয় নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে শেষ চারে খেলা নিশ্চিত করেছে ছন্দে থাকা আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার পয়েন্টের খাতা এখনো শূন্য। তাই এই দুলের শেষ চারে যাওয়ার একমাত্র সুযোগ আগামীকাল। কাল নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে যে জিতবে সে দলই আফগানদের সঙ্গে শেষ চারে যেতে পারবে। তাই শেষ চারে যেতে হলে যেভাবেই হোক লঙ্কানদের হারাতেই হবে সাকিব-মুশফিকদের। নয়ত কালই শেষ হবে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের মিশন।